শুরু হলো সিয়াম সাধনার মাস
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আবার এল পবিত্র মাহে রমজান। বাংলাদেশের আকাশে গতকাল মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ বুধবার থেকে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ থামাতে বিশেষ বিধিনিষেধ অনুযায়ী মসজিদগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গতকাল এশার নামাজের পরে প্রথম তারাবির জামাত আদায় করা হয়। এরপর শেষ রাতে সেহ্রি খেয়ে রোজা রেখেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই মাসে প্রতিদিন সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিবাভাগে পানাহার না করে থেকে সংযমের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি করে মহান আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ কামনা করবেন তাঁরা।
এর আগে বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির রমজানের চাঁদ দেখার বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন, ‘বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, (আজ) বুধবার থেকে রোজা শুরু।’
ইসলামী বিধান অনুযায়ী, রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় গতকাল শেষরাতে সেহরি খেয়ে আজ রোজা রেখেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
এদিকে মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি জামাতে অংশ নিতে পারবেন বলে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতিতে আজ ১৪ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ে এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত সোমবার জারিকৃত নির্দেশনায় বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন। রমজানে তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদিমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশ নেবেন। মুসল্লিদের পবিত্র রমজানে তিলাওয়াত ও যিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।