ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা
পবিত্র কোরআন শরিফ তিলাওয়াত, জিকির-আসকার আর নফল নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণের মহিমান্বিত রাত পবিত্র শবে বরাত অতিবাহিত করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের মহিমান্বিত আজকের রজনীতে মসজিদে মসজিদে দেখা গেছে মুসল্লিদের ভিড়। সেই সাথে কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন তাঁরা।
urgentPhoto
শবে বরাত, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ভাগ্য নির্ধারণের পবিত্র রজনী। ইসলাম ধর্মে গুরুত্বপূর্ণ চারটি রাতের অন্যতম শবে বরাত। এই রাতে পরম করুণাময় আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য খুলে দেন রহমত আর দয়ার ভাণ্ডার। এই ভাগ্য রজনী জানান দেয় পবিত্র রমজান মাসের আগমনী বার্তা। এক মাস সিয়াম সাধনার আগে শবে বরাত উপলক্ষে নফল রোজা ও নফল নামাজের মধ্য দিয়ে মূলত মুসল্লিরা রমজানের প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পান।
বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মতিউল ইসলাম বলেন, ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.) যেভাবে আমল করেছেন, শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখেছেন, যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব শাবান মাসে রোজা রাখার কথা আমরা বলব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সোমবার ও বৃহস্পতিবার এবং এ মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখতে পারি।’
আলেমরা জানান, ১৪ শাবান সূর্যাস্ত থেকে পরের দিন সুবহে সাদেক পর্যন্ত বান্দার ব্যক্তিগত ইবাদত-বন্দেগি ও জিকির আসকার আল্লাহর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই সন্ধ্যার পর থেকেই মসজিদে মসজিদে দেখা গেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের।
বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসা এক মুসল্লি বলেন, ‘আল্লাহকে ডাকব, জিকির করব- যেন আল্লাহ আমার গুনাহ মাফ করেন এবং আমাকে সত্য ও সুন্দর পথে চলার তৌফিক দান করেন।’
আরেক মুসল্লি বলেন, আজকের রাতে তিনি তওবা করবেন। আল্লাহ তায়ালা যাতে তাঁর গুনাহ মাফ করে দেন এ জন্য দোয়া করবেন।
পবিত্র শবে বরাতের এই রাতে পরম করুণাময় আল্লাহ খুলে রাখেন তাঁর দয়ার ভাণ্ডার। আর তাই সুখ-সমৃদ্ধি কামনা এবং নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে আল্লাহ রহমত প্রার্থনা করেন বান্দারা।
এ ছাড়া দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়া স্বজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে কবরস্থানে দোয়া করেন তাঁদের স্বজনরা।