আপনার জিজ্ঞাসা
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা সুদ হিসেবে গণ্য হবে কি না?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৭২৫তম পর্বে বগুড়া থেকে ই-মেইলে প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখা টাকার লভ্যাংশ সুদ হিসেবে গণ্য হবে কি না, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন কাইউম আহকাম। প্রশ্নোত্তরের অনুলিখন করেছেন রেজাউল করিম।
প্রশ্ন : আমি পুলিশে কর্মরত আছি। আমার প্রশ্ন, আমার চাকরির নানা সুযোগ-সুবিধার মধ্যে একটি হলো প্রভিডেন্ট ফান্ড। এখানে প্রতি মাসে আমার মূল বেতন থেকে ৫০০ টাকা বাধ্যতামূলক কর্তন করে এবং বছরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করে। আমিও নিজে এখানে টাকা কর্তন করতে পারি, তবে তা আমার মূল বেতনের বেশি হবে না। এখন আমার প্রশ্ন হলো, বছর শেষে আমাকে যে লভ্যাংশ দেবে তা কি সুদের পর্যায়ে পড়বে? আমার মতে, আমি সরকারি চাকরি করি বিধায় সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ভাতার মতোই এটা একটা সুযোগ-সুবিধা। বাকিটা আল্লাহই ভালো জানেন।
উত্তর : ভাই যে মতামত দিয়েছেন, তা শুদ্ধ নয়। কারণ হচ্ছে, তারা সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করে দিয়েছে যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এই লভ্যাংশ নাম দিয়েছে কিন্তু সুদের ভিত্তিতে। যেহেতু পার্সেন্টেজ উল্লেখ করে দিয়েছে সুদের ভিত্তিতে। এ লেনদেনটাকে শুদ্ধ করার পদ্ধতি আছে। ওখানে যে ভাইয়েরা কাজ করে থাকেন, তাঁরা একজন যোগ্য আলেম, যিনি ইসলামী অর্থনীতির ওপর পড়ালেখা জানেন, এ ধরনের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে শুদ্ধ করে নিতে পারেন। তাহলে হয়তো আপনাদের হারাম থেকে বাঁচার পদ্ধতি বেরিয়ে আসবে। বাকি আপনি যেভাবে স্পষ্ট করেছেন, স্পষ্ট বক্তব্যের মাধ্যমে এটি সুদ, এটি শুধু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন তা নয়, বরং শরিয়া অনুযায়ী যাঁরা শরিয়ার জ্ঞান রাখেন, তাঁরা সবাই জানেন যে এটি সুদ এবং আপনিও মোটামুটি মানসিকভাবে এ মাসালার ব্যাপারে এতটুকু জানেন যে নির্দিষ্ট হারে যেহেতু লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু এটি সুদ।