আপনার জিজ্ঞাসা
ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্য কী আমল করব?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৩২৫তম পর্বে একজন জানতে চেয়েছেন,ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্য কী আমল করবেন? অনুলিখন করেছেন রেখা আক্তার।
প্রশ্ন : ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্য কী আমল করব?
উত্তর : ধন্যবাদ আপনাকে। যে কাজগুলো করলে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিয়ে থাকে, সেই কাজ থেকে আপনি বিরত থাকার চেষ্টা করুন। এর মধ্যে প্রথম কাজ হচ্ছে, পরিপূর্ণরূপে তাহারাত হাসিল করা। সালাতের জন্য পরিপূর্ণরূপে তাহারাত হাসিল করলে শয়তান আর সালাতের মধ্যে ওয়াসওয়াসা দিতে পারবে না। যার ওপর গোসল ফরজ হয়েছে তিনি গোসল ঠিকমতো করবেন, আর যার ওপর অজু ফরজ হয়েছে তিনি যথাযথভাবে অজু করবেন, তাহলে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিতে পারবে না।
দ্বিতীয়ত হলো, শয়তান আল্লাহর বান্দাকে নামাজের মধ্যে অমনোযোগী করে দেয়। অমনোযোগী করে এই জন্য, যাতে বান্দা ইবাদত করতে না পারে। যখনই অমনোযোগিতা দেখা দেবে, তখনই বান্দা আল্লাহর কাছে শয়তান থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করবেন। রাসুল (সা.) আউযুবিল্লাহর যে দোয়া শিখিয়েছেন সেগুলো পড়বেন।
তৃতীয় বিষয়টি হলো, শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার জন্য বান্দাগণ বেশিভাগ ক্ষেত্রে তওবা করবেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন যে, একটি মজলিসে নবী করিম (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘নবী করিম (সা.) ইস্তেগফার করতেছেন সত্তরেরও বেশি।’ এই জন্য ইস্তেগফার শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে বান্দাদের দূরে রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং, ইস্তেগফার এবং আল্লাহর কাছে তওবা করবেন, তাহলে শয়তান বান্দাদের কাছে কুমন্ত্রণা বা ওয়াসওয়াসা দিতে পারবে না।