আপনার জিজ্ঞাসা
ইবাদত নিয়ে অহংকার করলে সেটা কি রিয়া হবে?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৫৪০তম পর্বে ইবাদত নিয়ে যদি অহংকার করা হয়, তাহলে কি সেটা রিয়া হবে?অনুলিখন করেছেন রেখা আক্তার।
প্রশ্ন : ইবাদতের উদ্দেশ্য যদি এমন হয় যে, আল্লাহর জন্য করা কিন্তু এই ইবাদত নিয়ে যদি অহংকার করা হয়, তাহলে কি সেটা রিয়া হবে? আর কেউ যদি অহংকার করে বলে যে, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে টাকা-পয়সা দিয়েছেন আর মাশা আল্লাহ বলে মানুষের কাছে দেখান যে তার এগুলো আছে, তাহলে কি রিয়া হবে?
উত্তর : আপনার এই কাজটি বৈধ হয়নি। অহংকার যদি হয়, তাহলে ইবাদত আল্লাহর জন্য হয়নি। ইবাদতের মূল চেতনা বা মূল লক্ষ্য কোনোটাই ঠিক হয়নি। অহংকারের উদ্দেশ্যে যদি ইবাদতকে তুলে ধরা হয় আর এরপর মাশা আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলেন না কেন, এটা হারাম কাজ হবে। অহংকার আল্লাহর চাদর। এটা নিয়ে টানাটানি করা বড় ধরনের অপরাধ। সুতরাং, অহংকার আল্লাহর জন্য সাজে আর এর জন্য বান্দার সামান্যতম কোনো অংশ নেই।
এর পরের বিষয়টি হচ্ছে, আপনি যেটাকে মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন, এটাই হলো রিয়া। মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যে, আপনি অনেক নফল ইবাদত করেন, তাহাজ্জুদ আদায় করেন, আপনার অনেক টাকা-পয়সা আছে, অনেক কিছু আছে, সেই কারণে এখানে রিয়ার বিষয়টি এসেছে। তাই যদি আপনি উদ্দেশ্য নাও করে, যেহেতু আপনার কাজের মধ্যে রিয়ার অংশ এসেছে, এই জন্য এটা রিয়া হিসেবে প্রমাণিত হবে এবং রিয়া হওয়ার কারণে আপনার আমল নষ্ট হবে।
কোনো না কোনো কারণে মনের গভীরে রিয়া একটু জায়গা নিয়েছে, যেটার বাহ্যিক কোনো কাঠামো তৈরি হয়নি। এই রকম রিয়াও আল্লাহর কাছে ছোট শিরকের পর্যায়ে চলে যাবে। তাই প্রশ্নই আসে না যে, আপনি প্রকাশ্যে গিয়ে মানুষদের নিজের কথা তুলে ধরবেন।