পিএইচপি কুরআনের আলোর সেরাদের সেরা হাফেজ মো. রাফসান মাহমুদ জিসান
দেশ-বিদেশে সাড়া জাগানো পিএইচপি কুরআনের আলো ২০২৪ সেরাদের সেরা হয়েছেন কুমিল্লার প্রতিযোগি হাফেজ মো. রাফসান মাহমুদ জিসান। আজ রোববার (৭ এপ্রিল) ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে ফাইনাল রাউন্ডে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় হয়েছেন ময়মনসিংহ হাফেজ মো. দিদারুল ইসলাম, তৃতীয় হয়েছেন গোপালগঞ্জের প্রতিযোগি হাফেজ মো. আনাস মাহফুজ, চতুর্থ হয়েছে কুমিল্লার প্রতিযোগি হাফেজ মো. আনাস প্রধান।
এবার ১৬ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। সারা দেশ থেকে প্রতিযোগিদের বাছাই করে চারজনকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। এবারের চূড়ান্ত বাছাই পূর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে দুবাইয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার এনটিভি সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। অনুষ্ঠানে প্রথম প্রতিযোগীকে দেওয়া হবে চার লাখ টাকা, দ্বিতীয় প্রতিযোগী পাবেন তিন লাখ টাকা, তৃতীয় প্রতিযোগী দুই লাখ টাকা ও সর্বশেষ চতুর্থ প্রতিযোগীকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হবে এক লাখ টাকা।
শাহ ইফতেখার তারিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে ছিলেন আন্তর্জাতিক হাফেজ ও ক্বারি সিলেকশন বোর্ডের হাফেজ ক্বারি জহিরুল ইসলাম, হাফেজ ক্বারি শাইখ ক্বারি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, হিফজুল কুরআন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক অডিটর শাখার হাফেজ ক্বারি মোহাম্মদ ফখরুল হুদা।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ সুফি মো. মিজানুর রহমান, এনটিভির পরিচালক আশফাক উদ্দিন আহমেদ, সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম, ইনফিনিটি মেগামলের চেয়ারম্যান মো. জুনাইদ, সেভয় আইসক্রিম ফ্যাক্টরি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়াজ আহমেদ, কুরআনের আলো ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মুফতি মো. মহিউদ্দিন।
এবারের এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬ বছর পূর্ণ করছে পিএইচপি কুরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে অনুষ্ঠান। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের ভালোবাসায় বারবার সিক্ত হয়েছে এ অনুষ্ঠান। খুদে হাফেজদের কণ্ঠে মহাগ্রন্থ আল কুরআনের বাণী দর্শকদের যেমন বিমোহিত করেছে, তেমনি দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে কুরআনের আলোকিত বার্তাও। কণ্ঠের মাধুর্য, শুদ্ধ উচ্চারণ আর ইসলামের শান্তিময় আবেশ ছড়িয়ে রমজান মাসজুড়ে দর্শকদের মহাগ্রন্থ আল কুরআনের শাশ্বত বাণীতে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন এসব খুদে হাফেজরা। ইসলামের শান্তি, সাম্য আর ভ্রাতৃত্বকে উড্ডীন করে খুদে হাফেজদের কণ্ঠে উচ্চারিত কুরআনের এই আলো আলোকিত করেছে শ্রোতাদর্শকদের হৃদয়। উপস্থিত সবার কণ্ঠেই ছিল এমন নান্দনিক আয়োজনের গুণগান। প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণ গ্র্যান্ড ফিনালেতে খুদে হাফেজদের তিলাওয়াত শুনতে আসতেন সুধিজন, গুরুজনেরাও। মধুর তিলাওয়াত ও বিচারকদের কঠিন প্রশ্নোত্তরের অনুষ্ঠান শেষে ঘোষণা করা হবে বিজয়ীর নাম।
এ বিষয়ে অনুষ্ঠানটির পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সারা দেশের ২২ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে বাছাই করে আমরা টিভি অনুষ্ঠানের জন্য ৩৯ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা ছিল অনেক কঠিন কাজ। আমাদের বিচারকেরা এবং এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ফাইনাল পর্যায়ে আসতে পেরেছি।’