আরাফার দিনের ফজিলত নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা কী?
নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
আপনার জিজ্ঞাসার ৮২০তম পর্বে টেলিফোনের মাধ্যমে হিমু জানতে চেয়েছেন, আরাফার দিনের ফজিলত নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা কী? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।
প্রশ্ন : আরাফার দিনের ফজিলত নিয়ে ইসলামের ব্যাখ্যা কী?
উত্তর : ধন্যবাদ আপনাকে। দেখুন আরাফা একটি ঐতিহাসিক ময়দানের নাম। ইসলামের এই স্থান এতই গুরুত্বপূর্ণ যে এখানে না অবস্থান করলে ইসলামের রুকুন হজ সম্পূর্ণ হয় না। জিলহজের মাসের ৯ তারিখ সূর্য হেলে যাওয়ার পর থেকে সূর্য ডোবার পূর্ব পর্যন্ত হাজিদের পৌঁছাতে হয় এই ময়দানে। তবে ওই রাতের সুবেহ সাদকের আগে পৌঁছালেও হজ হয়ে যাবে। এই সময়ে কেউ যদি যেতে ব্যর্থ হয় তার হজ পালন হবে না। হজের অন্য বিধানগুলো ভুল হলে দম দিয়ে সংশোধন করা যায়। কিন্তু আরাফায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না গেলে হজ হবে না। ১০টা দম দিয়েও তখন আর ওই বছর হজ হবে না। রাসুল (সা.) বলেছেন, সবচেয়ে উত্তম দোয়া হলো আরাফা দিবসের দোয়া। এই দিবসের কারণেই কিন্তু জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন এতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই আরাফার দিন আল্লাহ ঢালাওভাবে বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। সবচেয়ে বেশি মানুষকে ক্ষমা করে দেন। হাজিরা যে দোয়া করেন তা তো কবুল হয় তাতে যাতে আমরাও শরিক হতে পারি তাই আমাদের রোজার নির্দেশনা দিয়েছেন। আরাফার মূল ইবাদত হলো, দোয়া। এটা দোয়া কবুলের সময়, দোয়া কবুলের ময়দান। এটি ইসলামের অত্যান্ত ফজিলতপূর্ণ একটি দিন।