যমুনা এডিবল অয়েলের সঙ্গে এমারাল্ড-মিনোরির ত্রিপক্ষীয় চুক্তি
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ ও মিনোরি বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের। এতে বছরে গড়ে নয়শ কোটি টাকার বেশি বিক্রি বাড়বে বলে মনে করছে এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সম্পন্ন হয়। এমারেল্ড ওয়েলের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, মিনোরি বাংলাদেশের পক্ষে তরুণ উদ্যোক্তা মিয়া মামুন এবং যমুনা এডিবল অয়েলের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান।
এই সময় এমারাল্ড অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তির ফলে আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে আমরা যমুনা এডিবল অয়েল মিলে প্রতিদিন ৬০০ মেট্রিক টন ব্রান (কুঁড়া) ক্রাসিং করতে পারব। এর ফলে বছরে আমাদের টার্নওভার হাজার কোটি টাকায় পৌঁছাবে। এতে এমারেল্ড ওয়েলের বছরে ৩০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করতে পারবে বলে আশা করছি।
মিনোরি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিয়া মামুন বলেন, ‘আমরা যৌথভাবে যমুনা এডিবল অয়েল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করব। এতে মিনোরি প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দেবে। আর পরিচালনায় থাকবে এমারেল্ড অয়েল। ফলে তিনটি কোম্পানিই মুনাফা করতে পারবে। রাজশাহীতে ধানের কুঁড়া সহজলব্য হওয়ায় আমরা কৃষকের কাছ থেকে এটি সংগ্রহ করতে পারব। এতে রাইস ব্রান অয়েলে ফ্রি-ফ্যাটি এসিডের উপস্থিতি কম থাকবে। ফলে জাপানে তেল রপ্তানি সহজতর হবে।’
অনুষ্ঠানে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে যমুনা এডিবল অয়েলের কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ফ্যাক্টরি চলমান থাকলেও আমাদের উন্নত প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। জাপানি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজ করতে পারলে আমরা উন্নত প্রযুক্তি পাব। ফলে আমরা আরও লাভবান হতে পারব।’
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—এমারাল্ড অয়েলের কোম্পানি সচিব মো. এমরান হোসাইন, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম, ফু-ওয়াং ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো. সিদরাতুল মাহবুব, কোম্পানি সচিব শরীফ মাহমুদ প্রমুখ।