এমারেল্ড অয়েলের দর কমেছে ১৪ শতাংশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বি ক্যাটাগরির এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার দর গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) কমেছে ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই ধরনের কমাতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার টপটেন লুজারের শীর্ষে অবস্থান করেছে। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ৮২ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এমারেল্ড অয়েলের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১১৪ টাকা ২০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এদিকে চলতি মাসে শেয়ারটির দর ১৩৮ টাকা থেকে ৯৭ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
তথ্য মতে, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের (জুলাই-জুন) প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ২২ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) নেগেটিভ হয়েছে ২১ পয়সা। আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ নেগেটিভ ছিল ৭৭ পয়সা। চলতি অর্থবছরের গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ৮ টাকা ৯০ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১০ টাকা ৫৬ পয়সা।
এছাড়া ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদনে (জুলাই-জুন) এমারেল্ড অয়েলের বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৭৩ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১৭ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ নেগেটিভ হয়েছে ৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ নেগেটিভ ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ১০ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১২ টাকা ৮৫ পয়সা। আগের সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এমারেল্ড অয়েল। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫৯ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৫০০টি। রিজার্ভে রয়েছে নেগেটিভ ১৮৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।