সিএসইতে লেনদেনসহ কমেছে মূলধন
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। আলোচিত সপ্তাহে শেয়ারবাজার মূলধনও কমেছে। প্রধান সূচক সিএএসপিআইয়ের হয়েছে পতন। টপটেন লেনদেনের ৭০ শতাংশ দুর্বল কোম্পানির (‘বি’ ক্যাটাগরি) শেয়ারের দখলে রয়েছে। দুর্বল কোম্পানিগুলো হলো সেন্ট্রাল ফার্মা, ফার কেমিক্যাল, ফু-ওয়াং সিরামিক, প্যাসিফিক ডেনিমস, জেনারেশন নেক্সট, খুলনা প্রিন্টিং ও ফু-ওয়াং ফুড।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫৩ কোটি ১৪ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ২৭৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫২টির, দর কমেছে ৬৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৬টি কোম্পানির।
প্রধান সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক শূন্য আট শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৫১ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় দুই হাজার ৬৫৭ দশমিক ১৮ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসই৫০ সূচক দশমিক ১৬ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ৪২ শতাংশ, সিএসই এসএমইএক্স সূচক দুই দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে এক হাজার ৩০৫ দশমিক ৩৭ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৩৯ দশমিক ১০ পয়েন্টে, দুই হাজার ৬৫৭ দশমিক ১৮ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৭১ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্টে।
গেল সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৭০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া ‘এ’ ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ এবং ‘এন’ ক্যাটাগরি ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘বি’ ক্যাটাগরির সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার। একাই দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। এ ছাড়া ফার কেমিক্যালের (‘বি’ ক্যাটাগরি) দুই কোটি ৭ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামিকের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ৯৬ লাখ টাকা, প্যাসিফিক ডেনিমসের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা, জেনারেশন নেক্সটের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ৪৬ লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্টিংয়ের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ২৩ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ১৮ লাখ টাকা, লার্ফাজহোলসিমের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, কৃষিবিদ ফিডের (‘এন’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ৮ লাখ টাকা এবং আমান কর্টন ফেব্রিক্সের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।