ইনফরমেশন সার্ভিসেসের দর কমেছে আট শতাংশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘বি’ ক্যাটাগরির ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কস কোম্পানির শেয়ার দর আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) কমেছে আট শতাংশ। এই ধরনের কমায় এদিনে কোম্পানিটির শেয়ার টপটেন লুজারের শীর্ষে উঠে এসেছে। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে আজ ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কসের সমাপনী দর ছিল ৫০ টাকা ৪০ পয়সা। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এক কর্মদিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে চার টাকা ৪০ পয়সা বা আট দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। আলোচ্যদিনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করেছে। এদিন কোম্পানিটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৩৬টি শেয়ার ৭৭৫ বার হাতবদল হয়।
তথ্য মতে, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কসের শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৯ পয়সা। আগের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১৪ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৩ পয়সা। আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৩৩ পয়সা। চলতি অর্থবছরের গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে তিন টাকা দুই পয়সা।
২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কস। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা এক কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার তিনটি। রিজার্ভ নেগেটিভ সাত কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা সাত দশমিক ৬২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৭০ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
আজ দর কমার তালিকায় শীর্ষ দ্বিতীয়তে এসেছে বিডি থাই। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে সাত দশমিক ১৪ শতাংশ। ওই তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ছয় দশমিক ৩৫ শতাংশ, যমুনা অয়েলের ছয় দশমিক ৩৫ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ছয় দশমিক ১১ শতাংশ, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ছয় শতাংশ, এসকে ট্রিমসের পাঁচ দশমিক ২৭ শতাংশ, শমরিতা হাসপাতালেল চার দশমিক ৭২ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের চার দশমিক ১৫ শতাংশ এবং সী পার্ল বিচের তিন দশমিক ৮৫ শতাংশ করে শেয়ার দর পতন হয়।