ছত্রিশ টাকা কমে পতনের সেরা সী পার্ল বিচ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার শেয়ার দর গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) ২৩ শতাংশ কমেছে। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লুজারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১২৪ টাকা, যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১৬০ টাকা ৭০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৩৬ টাকা ৭০ পয়সা বা ২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ৬৬ কোটি ৬৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
তথ্যমতে, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬২ পয়সা। আগের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা ২৭ পয়সা। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৬৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল দুই টাকা ৪৩ পয়সা। চলতি অর্থবছরের গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৯ পয়সা।
অপরদিকে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদনে (জুলাই-জুন) কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে পাঁচ টাকা ৮১ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল এক টাকা ৩৪ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে আট টাকা ২৭ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮২ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১১ টাকা ৭৭ পয়সা।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সী পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ ৭৫ হাজার। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ২২ দশমিক ১০ শতাংশ, বিদেশিরা দুই দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ২৮ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
গেল সপ্তায় দর কমার তালিকায় শীর্ষ দ্বিতীয়তে এসেছে এমারেল্ড অয়েল। কোম্পানিটির শেয়ারটির দর কমেছে ১৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ওই তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডমিনেজ স্টিলের ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আফতাব অটোমোবাইলসের ১১ দশমিক ৩১ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ, আজিজ পাইপসের ১০ দশমিক শূন্য এক শতাংশ, দি ঢাকা ডায়িংয়ের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং সিমটেক্সের ৯ দশমিক ১৮ শতাংশের দর পতন হয়।