সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নেই, তবুও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এগিয়ে যাব : ডিএসই চেয়ারম্যান
ট্রেকহোল্ডারদের সাথে ডিজিটাল কমিউনিকেশন বাড়ানো সহ প্রয়োজনীয় রুলস রেগুলেশনস পরিবর্তন করার আমরা কাজ করছি। যদিও সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, তবুও পুঁজিবাজারের সংশ্লিষ্টরা যদি এক সাথে কাজ করে, তাহলে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু।
গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিবিএ ডিএসইর সাথে সৌজন্য বৈঠককালে হাসান বাবু এসব কথা বলেন।
ডিবিএর নতুন পরিচালনা পর্ষদের সাথে আজকের শুরুটা এমনভাবে হোক যেন একে অপরের মাঝে বন্ধন তৈরি হয়, এমন প্রত্যাশ রেখে হাসান বাবু বলেন, নতুন বছর, নতুন বোর্ড। নতুনের হাত ধরে উন্মোচিত হয় সম্ভাবনার দিগন্ত, নতুন মানেই নতুন উদ্দীপনা আর প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে চলা। তবে একক কর্মত্পরতা দিয়ে কারো পক্ষেই কিছু করা সম্ভব নয়। সকল পক্ষের সমন্বয়ের মাধ্যমেই পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে। আজকের ডিএসই অনেক বড়। এ কারণে আমাদের সামনে এখন আরো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার টেকসই কলাকৌশল নির্ধারণে আপনাদের পরামর্শ আমাদের প্রয়োজন। আপনাদের সাথে নিয়েই সম্মিলিতভাবে বাজারের উন্নয়ন করতে চাই। আপনাদেরকে ছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
কর বিষয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান হাসান বাবু বলেন, আমরা আগামি বাজাটের আগেই বিভিন্ন কর নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করব। তিনি আরও বলেন, উত্থান পতন পুঁজিবাজারের বৈশিষ্ট। এই বিষয়টি আমাদের মেনে নিতে হবে। দেশের স্বার্থে, অর্থনীতির স্বার্থে, সরকারের স্বার্থে এই বাজারকে গতিশীল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে খুবই তৎপর।
ফ্লোর প্রাইস দ্রুত তুলে স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপে জোর দিয়ে হাসান বাবু বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে এই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি ডিএসইর পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে তিনি ডিএসইকে সুচিন্তিত মতামত ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য ডিবিএর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে ডিবিএর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম নতুন মানসম্পন্ন কোম্পানি বাজারে আনা, ফ্লোর প্রাইস, কমোডিটিজ মার্কেট, পরামর্শক কমিটি এবং ডিএসইর গবেষণাকে শক্তিশালী করন। এসময় ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন এবং সিসিবিএলের কার্যক্রম চালুর দাবি জানান। এ ছাড়া কনসোলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্ট হতে প্রাপ্ত সুদ ব্রোকারদের আয় হিসেবে গন্য করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। এ ছাড়া ডিবিএর অন্যান্য পরিচালক বলেন, আপনাদের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। বর্তমানে লেনদেনের ভলিউম প্রত্যাশা অনুযায়ী হচ্ছে না। এই ভলিউম বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিবিএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর হায়দারসহ নব-নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা। ডিএসইর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, রুবাবা দৌলা, মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান, শরিফ আনোয়ার হোসেন, রিচার্ড ডি রোজারিও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান প্রমুখ।