উত্থানে পুঁজিবাজার, আধ ঘণ্টায় লেনদেন ১৯৭ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থানে লেনদেন চলছে। সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) শুরুর প্রথম ৩০ মিনিটে লেনদেন ১৯৭ কোটি টাকায় চলে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেয়ার বিক্রয়ের চাপে লেনদেন শুরুতেই পতন ঘটে, তবে পরে তা থেকে বেরিয়ে আসে। লেনদেনের প্রথম ৩০ মিনিটে সূচক বাড়ে ৪ দশমিক ৭০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া প্রথম ৩০ মিনিট বা সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭২টির, বেড়েছে ১৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টি কোম্পানির শেয়ার দর। এ সময় ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ছয় হাজার ২৫৯ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়েছে দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। একই সময় ডিএস-৩০ সূচক কমেছে তিন পয়েন্ট। প্রথম ৩০ মিনিটে লেনদেন শীর্ষে ওঠে এসেছে ফরচুন সুজ শেয়ার। এই শীর্ষে তালিকায় স্থান পেয়েছে রূপালী ব্যাংক, খান ব্রাদার্স, দেশবন্ধু পলিমার ও সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ার।
করোনার প্রকোপ ও শেয়ারবাজারে লাগাতার পতনের কারণে পুঁজিবাজারে প্রথমবার ২০২০ সালে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পরে তা ২০২১ সালের জুলাইয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল। ফের গত ২০২২ সালের জুলাইয়ে পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রায় দুই শতাধিক কোম্পানি ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল বিএসইসি। এতে একপর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনায় পড়ে বিএসইসি। পরে গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির ওপরে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় । তবে, তখনও ফ্লোর প্রাইসে আটকে রেখেছিল ৩৫ কোম্পানি।
পরে সব বিবেচনায় গত সোমবার আরও ২৩ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় বিএসইসি। সেই হিসেবে এখন ১২ কোম্পানির শেয়ার দরে ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকবে। যেসব কোম্পানিগুলোতে ফ্লোর প্রাইস থাকছে, সেগুলো হলো— গ্রামীণফোন, রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, রেনাটা, ইসলামী ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, বেক্সিমকো, শাহজিবাজার পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ও বিএসআরএম।