১১ শতাংশ কমে দরপতনের শীর্ষে আরামিট সিমেন্ট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুর্বল বা ‘জেড’ ক্যাটাগরির আরামিট সিমেন্টের গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১১ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লুজারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আরামিট সিমেন্টের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ২৫ টাকা ৭০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৮ টাকা ৮০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে তিন টাকা ১০ পয়সা বা ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ৯১ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ২৩ লাখ টাকা।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে তিন টাকা ৮৬ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল পাঁচ টাকা পাঁচ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে সাত টাকা ৮৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল সাত টাকা ৬৯ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে নেগেটিভ এক টাকা ২২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল তিন টাকা ৫৭ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ১২ টাকা ৩৩ পয়সা।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদনে (জুলাই-জুন) লোকসানে থাকায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের নো ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ১৬ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৫০ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল পাঁচ টাকা ৮৮ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ চার টাকা তিন পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১২ টাকা৫৮ পয়সা।
১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় আরামিট সিমেন্ট। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা তিন কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে নেগেটিভ ১৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৪৫ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
গেল সপ্তাহে দর কমার তালিকায় শীর্ষ দ্বিতীয়তে এসেছে ‘বি’ ক্যাটাগরির সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ারটির দর কমেছে ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইনটেকের (‘জেড’ ক্যাটাগরি) ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ, এস্কয়ার নিট কম্পোজিটের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৯ দশমিক ১১ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিডের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৯ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, নূরানি ডায়িংয়ের (‘জেড’ ক্যাটাগরি) আট দশমিক ২০ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের (‘জেড’ ক্যাটাগরি) আট শতাংশ, আইবিবিএল সেকেন্ট বন্ড (‘এন’ ক্যাটাগরি) সাত দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের (‘জেড’ ক্যাটাগরি) সাত দশমিক ৬০ শতাংশ দরপতন হয়।