সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের লেনদেন ১৫৯ কোটি টাকা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুর্বল বা ‘বি’ ক্যাটাগরির সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) ১৫৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ছয় টাকা ৬০ টাকা বা ২৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির ১৫৮ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সপ্তাহটিতে পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৭টি শেয়ারের কেনাবেচা হয়।
তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ছয় পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান হয় ১৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১৪ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয় শূন্য পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে পাঁচ টাকা ৪৪ পয়সা।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদনে (জুলাই-জুন) লোকসানে থাকায় কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের নো ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৩৭ পয়সা। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫৭ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল শূন্য পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল নেগেটিভ এক পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে পাঁচ টাকা ৫৯ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল পাঁচ টাকা ৯৬ পয়সা।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন তিনশত কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ এক হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪টি। রিজার্ভে নেগেটিভ ৫২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১৮ দশমিক এক শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫৬ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
গেল সপ্তায় লেনদেন তালিকায় শীর্ষ দ্বিতীয়তে এসেছে ‘এন’ ক্যাটাগরির বেস্ট হোল্ডিংসের শেয়ার। কোম্পানিটি একাই ১৪৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে। যা মোট লেনদেনের ৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। তিন কোটি ৫৪ লাখ ১৪ হাজার ৬০৫টি শেয়ারের কেনাবেচা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়ায় ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৩৭ টাকা ৪০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে এক টাকা ৪০ টাকা বা এক দশমিক ৪০ শতাংশ।
তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফু-ওয়াং সিরামিকের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ১২৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ১১২ কোটি টাকা, ফরচুন সুজের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ৮৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা, মুন্নু ফেব্রিক্সের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ৭৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৬৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, জেমিনি সী ফুডের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৬৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, বিডি থাইয়ের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা এবং লাভেলো আইসক্রিমের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৫৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।