৬১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে আজ রোববার (৩ মার্চ)। শেয়ার বেচার চাপ বাড়ায় এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দরপতন। কমেছে বাজারে মূলধন পরিমাণও। তবে লেনদেন পরিমাণ বেড়েছে। লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘরের কাছাকাছিতে এসেছে। সূচক পতনের চিত্র ছিল অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। কমেছে বাজারে মূলধন। বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। কমেছে লেনদেন পরিমাণ।
স্টক এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেয়ার বিক্রয়ের চাপে ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতেই সূচক পতন হয়। লেনদেন শুরুর প্রথম সাত মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতন হয় ১২ পয়েন্ট। ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করেছিল ছয় হাজার ২৫৪ পয়েন্টে। পরে সূচক বাড়তে থাকে। বাড়ে শেয়ার কেনার চাপ। এতে ডিএসইএক্স উত্থানে ফিরে। লেনদেন শুরুর ৪৯ মিনিট পর সূচক কমা মুখিতে ফিরে। বেলার বাড়া সাথে সাথে সেই সূচক কমার বৃত্ত বড় হতে থাকে। লেনদেনে শেষে ডিএসইএক্স ৩৯ কমেছে। লেনদেন ৯৮১ কোটি টাকার ছাড়িয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৮১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন ৯১৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এদিন পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৫৭ হাজার ৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৬০ হাজার ৭২৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার। রোববার সূচক ডিএসইএক্স ৩৯ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২১৫ দশমিক ১৮ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ৯ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৪৯ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএস৩০ সূচক ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১১৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১১০টির ও কমেছে ২৪২টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৪০টির।
আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল ফার্মার ৪৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, বিডি থাইয়ের ৩১ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, একটিভ ফাইনের ৩০ কোটি ১২ লাখ টাকা, মুন্নু ফেব্রিক্সের ২৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, লার্ফাজহোলসিমের ২৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ২৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ২১ কোটি ২৯ লাখ টাকা, গ্রামীনফোনের ১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং ইভেন্স টেক্সটাইলের ১৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার ১৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৪৯ হাজার ২০৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৫৩ হাজার এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৮৭ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৮৪১ দশমিক ২০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই৫০ সূচক ১২ দশমিক ১৭ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৩৭ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৫২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক তিন দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমেছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৯৫টির এবং কমেছে ১২৬টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ৩৯টির।