পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান মাহবুবুল আলমের
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে সরকারি, বেসরকারি কোম্পানি ও শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, পুঁজিবাজার প্রতি আস্থা বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ এক্সিট সুবিধা থাকা জরুরি।
আজ রোববার (২৬ মে ) পুঁজিবাজার ও বন্ড বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির এক উন্মুক্ত আলোচনায় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশে পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের আকার বড় হওয়া দরকার। এজন্য বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা ও জনসচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন। পাশাপাশি স্টক এক্সেঞ্জগুলোকে সহজ নিয়মনীতিও জরুরী। এসব কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা।
দেশের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে শিল্পায়নে বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্যে করে মাহবুবুল আলম বলেন, দুঃখের বিষয় হলো অল্পসংখ্যক বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে এসেছে। এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে সরকারি, বেসরকারি কোম্পানি ও শিল্প মালিকদের পুঁজিবাজারে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ এক্সিট সুবিধা থাকা জরুরি মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম বলেন, পুঁজিবাজার উন্নত হলে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই বাড়ে। পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি এবিষয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজনেরও পরামর্শ দেন।
সভাপতির বক্তব্যে কমিটির চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক আসিফ ইব্রাহীম বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, স্মার্ট বাংলাদেশসহ রূপকল্প-২০৪১ এর লক্ষ্যগুলো অর্জনে পুঁজিবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে দেশের মোট বাজারের তুলনায় পুঁজিবাজার অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মুনতাকিম আশরাফ বলেন, পুঁজিবাজারে ছোট বিনিয়োগকারীদের তুলনায় বড় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা অনেক কম। এ অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তবে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ এক্সিট ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। সভায় বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, সাবেক পরিচালক আক্কাস মাহমুদসহ কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।