মূলধনী আয়কে করমুক্তসহ ব্রোকারেজদের করহার যৌক্তিক করার দাবি : ডিবিএ
প্রস্তাবিত ২০২২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে মূলধন আয়ের ৫০ লাখ টাকার অধিক আয়ের উপর স্তরভিত্তিক করারোপ করা হয়েছে। অপরদিক কোন সিকিউরিটিজ বিনিয়োগের সময়কাল পাঁচ বছর অতিক্রম করলে ওই বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত আয়ের উপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপ করা হয়েছে। বর্তমান মন্দা পুঁজিবাজার পরিস্থিতি এবং আর্থিক সংকটে থাকা বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে মূলধন আয়ের উপর থেকে করারোপ না করার দাবি জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশ (ডিবিএ)।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ডিবিএর কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
শেয়ারবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির জোর দাবি করে ডিবিএর প্রেসিডেন্ট বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কী কারণে, প্রধানমন্ত্রী সেই নির্দেশ আমলে নেওয়া হচ্ছে না, সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তালিকাভুক্তির বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশ বাস্তবায়নে সরকার ও বাজার সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ভূমিকা রাখার অনুরোধ করছি।
বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউজগুলো দুটি স্তরে কর দিচ্ছে জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রথমত সিকিউরিটিজ ক্রয়-বিক্রয়ের উপর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং দ্বিতীয়ত করপোরেট আয়কর হিসেবে, যেটি বেশি হয় তা চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করা হয়। এ দ্বিস্তরের ব্যবস্থার ফলে মন্দা বাজার পরিস্থিতিতে ব্রোকারদের ক্ষতি করছে। এরূপ অবস্থায় ব্রোকারেজ ব্যবসায়িদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রাজস্ব করহার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ২৫ শতাংশ করা সহ করপোরেট আয়করকে ব্রোকারেজের জন্য চূড়ান্ত কর হিসেবে বিবেচনা রাখা দাবি করছি।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূলধন লাভের উপর করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, অথচ মূলধনী লোকসানের উপর ৬ বছর পর্যন্ত মূলধনী ক্ষতির জের বহন বা সমন্বয় করার বিধান বিদ্যমান রয়েছে। এরূপ ক্ষেত্রে আমরা বিনিয়োগকারীর মূলধন ক্ষতির বিষয়ে থাকা বিদ্যমান আইনের সুস্পষ্ট ও কার্যকর ব্যাখ্যা প্রদানসহ এটিকে সাত বছর পর্যন্ত প্রদেয় আয়করের বিপরীতে বহন বা সমন্বয় করার দাবি করছি।
এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে তালিকাভুক্তির রোড ম্যাপ করা, অতালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর জন্য কর্পোরেট করের হার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত করের হারের বাইরে বৃদ্ধি করা, নতুন বিও আইডিগুলোকে ৩ বছরের জন্য করমুক্ত রেখে পরিচালনা করার অনুমতি প্রদানসহ মার্জিন লসকে কর ছাড়যোগ্য করার দাবি করেন তিনি।