বড় অর্থের সংস্থানে ভূমিকা রাখবে পুঁজিবাজার, ব্যাংক নয় : বিএসইসি কমিশনার
বড় অর্থের সংস্থানে পুঁজিবাজার অগ্রণী ভূমিকা রাখবে, ব্যাংক নয় জানিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় আকারে ও দীর্ঘমেয়াদে অর্থের সংস্থানের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। এধরনের অর্থায়ন ব্যাংক খাত থেকে করা সঠিক কাজ নয়। তবে নানাবিধ কারণে আমাদের দেশে এটি এখনো প্রচলিত।
আজ বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) মাল্টিপারপাস হলে “জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫: পুঁজিবাজারের প্রত্যাশা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার এসব কথা বলেন।
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ তারেকের সভাপতিত্বে সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রভাষক মো. আদনান আহমেদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের (বিএএসএম) মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী ও আলোচক হিসেবে বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আমাদের বিষদভাবে চিন্তা করতে হবে এবং কীভাবে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে গবেষণা করতে হবে। এরূপ গবেষণা সরকারকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করতে পারে। উক্ত গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিআইসিএম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সেমিনারে ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, উন্নত দেশে পুঁজিবাজার থেকেই দীর্ঘ মেয়াদী অর্থের সংস্থান করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী অর্থের সংস্থান করতে দেখা যায়। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অর্থ বাজার ও পুঁজিবাজারের সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্তঃসংযোগ থাকা দরকার।
অধ্যাপক ফয়সাল আহমেদ খান বলেন, আমাদের দেশের ঘাটতি বাজেটের অর্থায়ন মূলত ব্যাংকিং খাত থেকে করা হয়। কোন দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার এতো অর্থের সংস্থান করলে প্রাইভেট খাতে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাই এই বিরূপ প্রভাব দূর করতে পুঁজিবাজার থেকে বিকল্প অর্থায়নের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।