ডিএসইর ৮৭ শতাংশ কোম্পানির দরপতন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে পার করল গত সপ্তাহ (১৪ থেকে ১৭ অক্টোবর)। সপ্তাহটিতে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে মূলধন পরিমাণ কমেছে পাঁচ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। দরপতন হয়েছে ৮৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, আগের সপ্তাহ থেকে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন পরিমাণ কমেছে ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে মূলধনের পরিমাণ কমেছে পাঁচ হাজার ২৫০ কোটি চার লাখ টাকা বা দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এদিকে গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর পুঁজিবাজার মূলধন দুই লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল সাত লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়ায় ছয় লাখ ৬৯ হাজার ১৬৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকায়। যা আগের সপ্তাহের বুধবারে এই মূলধন ছিল ছয় লাখ ৭৪ হাজার ৪১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকায়।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ২৭৯ কোটি দুই লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৪৬৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩১৮ কোটি সাত লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৬৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৩৪টির, দর কমেছে ৩৪৫টির বা ৮৭ দশমিক ১২ শতাংশ ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি কোম্পানির। লেনদেন হয়নি ১৭টি কোম্পানির শেয়ার।
সপ্তাহটিতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৬৪ দশমিক শূন্য আট পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ২৫৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে। ডিএসই৩০ সূচক ৫৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় এক হাজার ৯৩০ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। ডিএসএমইএক্স সূচক এক দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় এক হাজার ১১৩ দশমিক ৩০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় এক হাজার ১৭৪ দশমিক ১৩ পয়েন্টে।