অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছিল মাশরাফীকে!
২০১৭ সালের এপ্রিলে আচমকাই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সেই অবসর প্রসঙ্গে দীর্ঘদিন পর মুখ খুললেন নড়াইল এক্সপ্রেস। অনেকটা বাধ্য হয়েই নাকি সেই সময়ে অবসর নিয়েছিলেন তিনি।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া দ্বিতীয় পর্বের সাক্ষাৎকারে মাশরাফী বলেন, ‘ওইখানে কিন্তু আমাকে করতেই হতো (অবসর নিতে হতো), এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছিল। একটুই বললাম নিতে হয়েছে, বিস্তারিত বলব না। আমি কার কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়েছি দেখান তো আমার সময়ে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়ে ডাক্তার ছাড় দেওয়ার পরও আমাকে দলে নেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালে যখন অবসরে গেলাম, আমি দেশে এসে কাউকে কিছু বলিনি। শুধু দেশের মানুষ আমার পক্ষে ছিল।’
বাংলাদেশ দলের সাবেক সফল অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমি যখন শ্রীলঙ্কায় পা রেখে হোটেলে যাই, আমি তখনও ট্রাভেল স্যুটও খুলিনি, তখনই আমার সঙ্গে নিচে একটা মিটিং হয়। মিটিংয়ের পরই আমার মনে হয়, কিছু একটা গোলমাল আছে। আমি সবসময় বলে আসতাম আমরা সিদ্ধান্তগুলো কিন্তু হুট করেই হবে। আমি যখন বুঝতে পেরেছি সবার বিপরীতে থাকার প্রয়োজন নাই।’
এর আগে প্রথম পর্বের সাক্ষাৎকারে মাশরাফী বলেছিলেন, ‘ডাটাগুলো একটু বের করে দেখেন, আমার একটা ফিটনেস টেস্ট ফেল আছে কি না। আমি তো এগুলো কখনোই ক্যামেরার সামনে বলিনি। যে মানুষগুলো কথা বলছেন, তাঁদের অবদান কী? তাঁদের অবদানগুলো যদি আমি তুলে ধরি, সেটা তো খারাপ হয়ে যাবে।’
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আরও বলেন, ‘একটা বিশ্বকাপে ৫০ জন যাচ্ছে মাশরাফীর চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে। কেউ কি নিজের টাকায় গিয়েছেন? খুবই অবাক লাগে ওনারা কি আসলেই কোনো তথ্য রাখেন বা আদৌ অফিস করেন?’
সর্বশেষ যেবার বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা নাকি মাশরাফীর সঙ্গে আলোচনা করেই দেওয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘না, আলোচনা করা হয়নি। কিছুটা সত্য কথা আশা করেছিলাম।’
কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সঙ্গে কথা হয়েছে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, ‘আমাকে এক কাপ কফির প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। আমি এখনো সেটার অপেক্ষায় আছি।’
গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে থেকে এখনো অবসর না নিলেও সেই সিরিজের দলে জায়গা পাননি মাশরাফী।