‘আগামী তিন বছর সাকিব-তামিমদের সেরা সময় হবে’
বাংলাদেশের ক্রিকেট আকাশে পাঁচটি সূর্য সবসময়ই জ্বলজ্বল করবে। এই পাঁচজনের একজন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বাইশ মাতিয়ে গিয়েছেন নিজের মতো করে। মাহমুদউল্লাহ সম্প্রতি দলের বাইরে থাকলেও তাকে ছাড়া অসম্পূর্ণ পঞ্চতন্ত্রের মন্ত্র। বাকি তিনজন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমকে ঘিরে এখনও স্বপ্ন বোনে বাংলাদেশের সমর্থকরা। ক্রিকেটে অর্জন মানেই তাদের কেউ একজনের জড়িয়ে থাকা।
সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের জন্য রেকর্ডে মোড়ানো। প্রথম ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসান ছুঁয়েছেন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭ হাজার রানের মাইলফলক। দ্বিতীয় ম্যাচে দুই বন্ধু তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম উঠেছেন ভিন্ন দুই চূড়ায়। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে করেছেন ১৫ হাজার রান।
একই ম্যাচে আইরিশদের তুলোধুনো করে ৬০ বলে ১০০ করে মুশফিকুর রহিম হন বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। সঙ্গে সাকিব-তামিমের পর তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডে পূর্ণ করেন ৭ হাজার রান।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ)। তার আগে আজ বুধবার (২২ মার্চ) এই তিনজনকে সম্মাননা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সম্মাননা দেওয়ার আগে ড্রেসিংরুমে সাকিবকে নিয়ে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ‘ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় সাকিব বাংলাদেশে খেলেছে। প্রায় পুরোটা সময়ই সে খেলেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা সব বোলারদের বিপক্ষে। এই পরিস্থিতিতে ৭ হাজার রান করা সহজ নয়। গত ৫/৬ বছর ধরে যেভাবে সে পারফর্ম করছে কিংবা আমি আসার আগে থেকেই, বাংলাদেশে না হয়ে অন্য দেশের হয়ে খেললে তার রান ১০/১২ হাজার থাকতো। বিশেষ করে যদি ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের হয়ে খেলতো।’
তামিমকে সংবর্ধনা দেওয়ার আগে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বলেন, ‘তামিম যখন ভালো খেলে, তখন দলও ভালো খেলে। ১৫ হাজার রানের জন্য তোমাকে অভিনন্দন। আমি যখন এখানে আবার ফিরে আসি, চেয়েছি একটা ব্যাপার নিশ্চিত করতে। তুমি (তামিম), সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ যে কয়দিন খেলো, সম্ভবত আর তিন বছর, তা যেন তোমাদের সেরা সময় হয়।’