আফ্রিদির আগুনে বোলিংয়ে বিধ্বস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ
জয়ের জন্য ৩২৯ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকাতে হতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। শুরুর দিকের ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশাও জাগিয়েছিল স্বাগতিকেরা। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত লড়াইটাও জমিয়ে তুলতে পারল না ক্যারিবীয়রা। শাহীন শাহ আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে অল্পতেই গুটিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে স্বস্তির জয়ে সিরিজে সমতা নিয়ে শেষ করল পাকিস্তান।
জ্যামাইকায় দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
শেষ ইনিংসে ৩২৯ রানের লক্ষ্যে ছুটে ক্যারিবীয়রা শেষ দিনে গুটিয়ে যায় ২১৯ রানে। দলের হয়ে সর্বাধিক ৪৭ রান করেন জেসন হোল্ডার। ৩৯ রান আসে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের ব্যাট থেকে। ৩২ রান করেন কাইল মায়ার্স। বাকিদের টিকতে দেননি আফ্রিদি।
পুরো সিরিজে দারুণ বোলিং করা আফ্রিদি শেষ দিনেও ছিলেন দারুণ। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে ৪৩ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। সবমিলে তাঁর শিকার ১০ উইকেট। যেটা টেস্টে তাঁর প্রথমবার হলো। ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা ও সিরিজ সেরা হয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৩০২ রান তোলে পাকিস্তান। বিপরীতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৭৬ রান করে ৩২৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৩০২/৯(ডি.)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস : ১৫০
পাকিস্তান ২য় ইনিংস : ১৭৬/৬(ডি.)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ৩২৯, আগের দিন ৪৯/১) ৮৩.২ ওভারে ২১৯ (ব্র্যাথওয়েট ৩৯, পাওয়েল ২৩, জোসেফ ১৭, বনার ২, চেইস ০, ব্ল্যাকউড ২৫, মেয়ার্স ৩২, হোল্ডার ৪৭, জশুয়া ১৫, রোচ ৭, সিলস ০*; আব্বাস ১৪-৩-৪২-০, আফ্রিদি ১৭.২-৫-৪৩-৪, হাসান ১৪-৬-৩৭-২, ফাহিম ১৩-৫-৩৬-০, নুমান ২২-৭-৫২-৩, ফাওয়াদ ৩-১-৩-০)।
ফল : পাকিস্তান ১০৯ রানে জয়ী।
সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজ ১-১ ড্র।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : শাহিন শাহ আফ্রিদি।
ম্যান অব দ্য সিরিজ : শাহিন শাহ আফ্রিদি।