আবার সিংহাসনে মুশফিক
ব্যাট হাতে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ১৫ বল খরচায় নিয়েছেন নয় রান। এদিন সাফল্য না পেলেও একটি কীর্তি গড়েন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। তবে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁকে টপকে যান সতীর্থ মুশফিকুর রহিম।
টেস্ট ক্রিকেটে তামিমের মোট সংগ্রহ এখন চার হাজার ৪১৪ রান। তিনি ৬১ টেস্টে ১১৬ ইনিংস খেলে এই রান ঝুলিতে পুরেন।
চট্টগ্রাম টেস্টে পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে নেমে মুশফিক ছাড়িয়ে যান সতীর্থ তামিমকে। এদিন তিনি ৬৯ বলে ৩৮ রান করেন। তাই ৭১ টেস্টে ১৩১ ইনিংস খেলে চার হাজার ৪৫১ রান করেন মুশফিক। এখন তিনি আছেন সবার ওপরে। অল্প কিছুক্ষণের জন্য শীর্ষে উঠলেও তামিম আবার নেমে যান দ্বিতীয় স্থানে।
টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে চার হাজার রান করা ব্যাটসম্যান এই দুজন। তিন নম্বরে থাকা সাকিব আল হাসান করেন তিন হাজার ৮৬২ রান। আর চতুর্থ স্থানে সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার (৩০২৬)। পঞ্চম স্থানে মুমিনুল হক (২৮৬০)।
মুশফিকের এই কীর্তির দিনে বাংলাদেশ প্রথম দিন শেষে পাঁচ উইকেটে ২৪২ রান করে। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। উদ্বোধনীতে নেমে খেলেছেন দারুণ একটি হাফসেঞ্চুরি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫৪ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছয়টি চারের মার রয়েছে।
ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত রানআউট হন মধ্যাহ্নভোজের আগে। তিনি করেন ২৫ রান। আর বল খেলেছেন ৫৮টি। অধিনায়ক মুমিনুল হক উইকেটে সেট হয়েও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেননি। ৯৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দিনের শেষটা সুন্দর হয়েছে বাংলাদেশের। শেষ উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস দারুণ একটি জুটি গড়েন। দুজনে ৪৯ রানের জুটি গড়ে দিন শেষে সম্মানজনক সংগ্রহ গড়ে দিতে মূল্যবান অবদান রাখেন। সাকিব ৯২ বলে ৩৯ এবং লিটন ৫৮ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।