আবাহনীর কাছে হেরে গেল মোহামেডান
লক্ষ্যটা খুব বড় নয়। জিততে হলো আবাহনী লিমেটেডকে করতে হতো ২৫৬ রান। এই রান তাড়ায় খুব একটা বেগ পেতে হয়নি তাদের। ২২ বল হাতে রেখেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারাল আবাহনী লিমিটেড।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) হাইভোল্টেজ ম্যাচে মোহামেডানকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগে ব্যাট করে পাকিস্তানি তারকা মোহাম্মদ হাফিজের হাফসেঞ্চুরিতে আবাহনীকে ২৫৬ রানের লক্ষ্য দেয় মোহামেডান।
আবাহনীর বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯ ওভারে ২৫৫ রানে থামে মোহামেডান। এই রান করতে বড় ভূমিকা রেখেছেন হাফিজ ও রুবেল মিয়া। দুজনই উপহার দিয়েছেন হাফসেঞ্চুরি।
ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করে মোহামেডান। শুরুর জুটিতে তাদের স্কোরবোর্ডে আসে ৩৭ রান। ১৪ রান করে আউট হন আব্দুল মজিদ। এরপর ৩৪ রানে বিদায় নেন রনি তালুকদার। দুই ওপেনারকে হারানোর পর হাল ধরেন হাফিজ ও রুবেল মিয়া। দুজনে মিলে উপহার দেন শতরানের জুটি। এই জুটিতেই মূলত আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজি পায় মোহামেডান।
যদিও ব্যাট হাতে বেশ মন্থর ছিলেন হাফিজ। তিনি ৮৮ বলে দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। শেষ পর্যন্ত ১০১ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন এই পাকিস্তানি তারকা। রুবেল মিয়া করেন ৫১ রান। দুজনে সাজঘরে ফিরলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানে থেমে যায় মোহামেডান। শেষ ২৩ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ইনিংস থামে মোহামেডানের।
আবাহনীর হয়ে বল হাতে ৩৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব। এ ছাড়া দুটি উইকেট নেন আফিফ হোসেন।
জবাব দিতে নেমে সহজেই জয় তুলে নিয়েছে আবাহনী। দলের হয়ে হনুমা বিহারী খেলেন ৮০ বলে ৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ৬০ রানের ইনিংস উপহার দেন জাকের।
এ দুজন ফিরলে বাকি কাজ সারেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও আফিফ হোসেন। অধিনায়ক খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। আর ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ। এই জুটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।