আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে দিল্লি অধিনায়কের ক্ষোভ
রাজস্থান রয়্যালস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার গতকালের ম্যাচটিতে শেষ ওভার পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত রাজস্থান জিতলেও শেষ ওভারে হওয়া ‘নো বল’ বিতর্ক নিয়ে হতাশ দিল্লি। ম্যাচ শেষে সেই হতাশা আড়াল করতে পারলেন না দলটির অধিনায়ক ঋষভ পন্থ।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দিল্লির দরকার ছিল ৩৬ রান। যা এক প্রকার অসম্ভবই ছিল। কিন্তু, সে অসম্ভব কাজটিই প্রায় সম্ভব করে ফেলছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের রভম্যান পাওয়েল।
প্রথম তিন বলে তিন ছক্কা হারিয়ে সমীকরণ মেলানোর পথে হাঁটছিলেন পাওয়েল। কিন্তু, ওভারের তৃতীয় বলটি রভম্যানের কোমরের উচ্চতায় উঠে গেলেও ‘নো বল’ ডাকেননি আম্পায়ার। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় দিল্লি ক্যাপিটালসের ডাগআউটে। কিন্তু, সে উত্তেজনায় জল ঢেলে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসে রাজস্থান রয়্যালস।
মূলত তৃতীয় বলটি আম্পায়ার ‘নো বল’ না ডাকায় ক্ষুব্ধ হন ডাগআউটে থাকা দিল্লির খেলোয়াড়েরা। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাটসম্যানের কোমরের উচ্চতায় ছিল বলটি। বলঠি ‘নো’ ডাকেননি মাঠের আম্পায়ার। এমনকি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছেও পাঠানো হয়নি দেখার জন্য।
এতে উত্তেজিত হয়ে পড়েন দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। একপর্যায়ে দুই ব্যাটসম্যানকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসার ইশারাও করেন তিনি বেশ কয়েক বার। তবুও বদলায়নি আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিতে ১৫ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে দিল্লি।
হারের পর দিল্লির অধিনায়ক পন্থ বলেন, ‘পাওয়েল শেষদিকে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। ওই নো বলটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারত। আমার মনে হয়েছে, আমরা নো বলটা হয়েছে কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখতে পারতাম, কিন্তু সেটা তো আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি খুব হতাশ। কিন্তু এ ব্যাপারে খুব বেশি কিছু করারও নেই।’
মূলত ফিল্ড আম্পায়ররা কেন তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাননি সেটা নিয়েই ক্ষোভ পন্থের। তিনি বলেন, ‘মাঠে উপস্থিত সবাই এটা দেখেছে। আমার মনে হয়, তৃতীয় আম্পায়ারেরও এ ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল, বলা উচিত ছিল এটা নো বল হয়েছে। কিন্তু আমি তো আর নিয়ম বদলাতে পারব না।’