ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করতে বাংলাদেশের পুঁজি ১৫৮
টানা দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের ইতিহাস হয়েছে আগেই। এবার বাংলাদেশের সামনে হাতছানি ইংল্যান্ডকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করার। সেই লক্ষ্যে মাঠে নেমে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস উপহার দেন লিটন দাস। শান্ত-লিটনদের ব্যাটে চড়ে ইংলিশদের ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জ দিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে জিতে এরই মধ্যে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লাল-সবুজের দল। আজ জিতলেই প্রথমবার কোনো সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার কীর্তি গড়বে সাকিব আল হাসানের দল।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টসে জেতেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। চলতি সফর ও চলতি বছরে আজই প্রথমবার টস জেতেন ইংলিশ অধিনায়ক। শেরেবাংলার স্পিন উইকেটে ফিল্ডিং বেছে নেন বাটলার। তবে অধিনায়কের পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে দারুণ সূচনা করে বাংলাদেশ।
ওপেনিং জুটিতে লিটন দাস ও রনি তালুকদার মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৫৫ রান। ব্যাট হাতে গেল কয়েক ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া লিটন আজ রানের দেখা পান। যদিও শুরু থেকে ছটফট করছিলেন রনি। ব্যক্তিগত ১৭ রানে একবার জীবন পান তিনি। জফরা আর্চারের বল মোকাবিলায় শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দেন রনি। সেখানে থাকা রেহান জায়গায় দাঁড়িয়েই ক্যাচ নেন, তবে পরক্ষণেই তালগোল পাকিয়ে বল ফেলে দেন।
জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে করতে পারেননি রনি। ২৪ রানেই আদিল রশিদের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি। ইংলিশ তারকার বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রনি।
অবশ্য রনিকে হারিয়েও বিপদ বাড়েনি বাংলাদেশের। কারণ দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশ পায় আরেকটি চমৎকার জুটি। লিটন দাস ও নাজমুল হাসান শান্ত মিলে ইংলিশ বোলারদের পরীক্ষা নেন। এর মধ্যে ৪১ বলে ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন লিটন।
হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর আরও আগ্রাসী ব্যাট করেন লিটন। সঙ্গে শান্তও ছিলেন আগ্রাসী। দুই ব্যাটারে চড়েই ইনিংস গড়ার ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। যদিও শেষ দিকে লিটন ফেরার পর রানের গতি কমে যায়। নয়ত আরও বড় সংগ্রহ গড়তে পারতো লাল-সবুজের দল। শেষ পাঁচ ওভার বাংলাদেশ রান নিতে ভুগেছে। তাতে ১৫৮ রানে গিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত ৫৭ বলে ১টি ছক্কা ও ১০ চারে লিটন দাস উপহার দেন ৭৩ রানের ইনিংস। এটিই টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। আগের সেরা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৯ রান। ১৭তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৩৯ রানে ভাঙে তাঁর প্রতিরোধ। ক্রিস জর্ডানের করা স্লোয়ার বল মোকাবিলায় ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন ডানহাতি এই ওপেনার। লিটন ফিরলে শেষ পর্যন্ত শান্ত খেলেন ৩৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল একটি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা দিয়ে। সাকিব ৬ বলে করেন ৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৫৮ (রনি ২৪, লিটন ৭৩ , শান্ত ৪৭, সাকিব ৪ ; রেহান ৩-০-২৬-০, আর্চার ৪-০-৩৩-০, রশিদ ৪-০-২৩-১, জর্ডান ৩-০-২১-১, কারান ৪-০-২৮-০, ওকস ১-০-১২-০, মঈন ১-০-১২-১)।