ইংল্যান্ডের বাজির ঘোড়া হ্যারি কেইন
বৈশ্বিক আসরে ইংল্যান্ড বরাবরই ফেভারিট। ফুটবলের জন্মদাতাদের ঘরে বিশ্বকাপ কেবল একবার গিয়েছে। সেটি ১৯৬৬ সালের কথা। তারপর কেটে গেছে প্রায় পাঁচ দশক। বিশ্বকাপ আসে, ফেভারিটের তকমা সাঁটে, কিন্তু শিরোপার শিকে ছেঁড়ে না। আরও একটি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তৈরি ইংল্যান্ড।
ফিফা র্যাংকিংয়ে ৫ নম্বরে থাকা ইংল্যান্ড সর্বশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে চতুর্থ হয়েছে। গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা কাতার বিশ্বকাপে আসার আগে বাছাই পর্বে ছিল অপরাজিত। তাতে ছেদ পড়ে সর্বশেষ উয়েফা নেশন্স কাপে ৬ ম্যাচে জয়বিহীন থেকে।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হবে ২১ নভেম্বর ইরানের বিপক্ষে। হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে জয়ের বিকল্প নেই। গ্রুপপর্বে ইংলিশদের বাকি দুই প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলস। মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে ওয়েলস, তা ভালো করে জানে ইংল্যান্ড।
প্রায় সব দলেই বড় তারকা থাকে। যাদের উপর আলাদা করে নজর রাখে সবাই। ইংল্যান্ড এখানে ব্যতিক্রম। ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াডে সবার সম্মিলিত শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার ছক কষছে ১৫টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দেশটি। তবে এর মাঝেও আলাদা নজর থাকবে হ্যারি কেইনের উপর।
তারকা এই ফরোয়ার্ড হয়েছিলেন রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা। বিশ্বকাপে তার গোলসংখ্যা ৬। কাতারে ৫ গোল করলে ছাড়িয়ে যাবেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১০ গোল করা গ্যারি লিনেকারকে। থ্রি লায়ন্সদের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৭৫ ম্যাচে ৫১ গোল করা কেইনের জন্য এটি অসম্ভব কিছু নয়।