ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশের সামনে ছোট লক্ষ্য
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে কেবল ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। এবার সেই ইতিহাস গড়ার দুয়ারে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সামনে হাতছানি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার। সেই লক্ষ্যে মিরাজ-তাসকিনদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে অল্পতে থামিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই মাত্র ১১৮ রান। এই রান করলেই ‘হোম অফ ক্রিকেট’ গ্রাউন্ডে ইতিহাস গড়বে সাকিব আল হাসানের দল।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ রোববার (১২ মার্চ) বাংলাদেশের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১০ উইকেটে ১১৭ রান করেছে ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন বেন ডাকেট।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টসে জিতে বোলিংয়ে বেছে নেয় বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করে ইংল্যান্ড। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে ভাঙেন সেই ছন্দ। বাংলাদেশি পেসারের বল মোকাবিলায় থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দেন ওপেন করতে নামা ডেভিড মালান। সেখানে থাকা হাসান মাহমুদ ক্যাচ নিয়ে ৫ রানে মালানকে মাঠ ছাড়া করেন। ১৬ রানে ভাঙে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি।
পাওয়ার প্লের পরের ওভারে এসেই ইংলিশদের দ্বিতীয় জুটি ভাঙেন সাকিব। ফিরিয়ে দেন আরেক ওপেনার ফিল সল্টকে। ১৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করে ফেরেন সল্ট।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলারকে থিতু হতে দিলেন না হাসান মাহমুদ। তরুণ পেসারের ইয়র্কারে এলোমেলো হয়ে যায় বাটলারের স্টাম্প। অধিনায়ককে হারানোর মাঝেই মেহেদী হাসান মিরাজ দেন আরও বড় ধাক্কা। তিনি মাঠছাড়া করেন ছন্দে থাকা মঈন আলিকে। মিরাজকে সুইপ করে ছক্কা মারার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন মঈন। ফেরার আগে করেন ১৭ বলে ১৫ রান।
দলীয় ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। এই সুযোগে অতিথিদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। একদশে ফেরা মিরাজ একাই তুলে নেন ৪ উইকেট। সাথে বাকিরাও যোগ দেন উইকেট উৎসবে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে বড় পুঁজির দেখা পায়নি ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ওভারে কোনো মতে একশ ছাড়িয়ে থামে সফরকারীদের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে দারুণ করেন মিরাজ। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৪ উইকেট। সমান একটি করে নেন তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড দল: ২০ ওভারে ১১৭/১০ ( সল্ট ২৫, মালান ৫, মঈন ১৫, বাটলার ৪, কারান ১২, ওকস ০, জর্ডান ৩, ডাকেট ২৮, রেহান ১১, আদিল ১*, আর্চার ০* ; তাসকিন ৪-০-২৭-১, মোস্তাফিজ ৪-০-১৯-১, নাসুম ১-০-১৩-০, সাকিব ৩-০-১৩-১, হাসান ২-০-১০-১, মিরাজ ৪-০-১২-৪, শান্ত ১-০-৯-০, আফিফ ১-০-৭-০)।