‘ইন্দোনেশিয়ার স্টেডিয়ামের ঘটনা ফুটবলের একটি কালো রাত’
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে সংঘর্ষ ও হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অন্তত ১৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৮০ জনের বেশি। এই ঘটনায় স্তব্ধ পুরো ফুটবল বিশ্ব। ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান এই ঘটনাকে, ফুটবলের একটি কালো রাত বলে উল্লেখ করেছেন।
বিবিসির খবর অনুসারে, গতকাল শনিবার রাতে পূর্ব জাভা প্রদেশের মালাং শহরের কানজুরুহান স্টেডিয়ামে স্থানীয় আরেমা ফুটবল ক্লাব চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পারসেবায়া সুরেবায়া দলের বিপক্ষে হেরে যাবার পর উত্তেজিত দর্শকরা গ্যালারি থেকে মাঠে প্রবেশ করলে পুলিশ তাদের দমাতে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
এর পরপরই আতঙ্কিত লোকজন স্টেডিয়াম থেকে বাইরে বের হবার পথে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে পদদলিত ও দম বন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৩৪ জন। এরপর হাসপাতালে নেয়ার পথে ও হাসপাতালে মারা যান বাকিরা।
সরকারি কর্মকর্তারা প্রথমে নিহতের সংখ্যা ১৩০ জানালেও পরে এক ঘোষণায় জানায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪-এ পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।
এদিকে ঘটনার পর ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উদোদো তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশটির শীর্ষ ফুটবল লীগ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতি ইনফান্তিনো সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় যে ট্র্যাজিক ঘটনা ঘটেছে, তাতে ফুটবল বিশ্ব শোকে স্তব্ধ। ফুটবলের সঙ্গে জড়িত সবার কাছে এটি একটি কালো রাত এবং এই বিয়োগাত্মক ঘটনা ব্যাখ্যার অতীত। যারা এই দুর্ঘটনার শিকার, এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই।’
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে দর্শকদের সংঘর্ষের ঘটনা নতুন কোনো বিষয় নয়। আর আরেমা ক্লাব ও পারসেবায়া সুরাবায়ার রেষারেষি অতি পুরোনো ঘটনা।