‘এই জয় আত্মবিশ্বাস বাড়াবে’
সিরিজ শুরুর আগে ক্রিকেটাররা বারবার বলেছিলেন, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর বড় সুযোগ। প্রথম ম্যাচ থেকেই সতীর্থদের সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের বার্তা কাজে লেগেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। এটাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। ব্যাটে-বলে ভূমিকা রেখে ম্যাচসেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে জয় নিয়ে নিজের স্বস্তির কথা জানালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
দলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সাকিব বলেন, ‘জয় পাওয়ায় খুবই ভালো লাগছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিততে পারা অনেক আনন্দের। কারণ আমরা এর আগে কখনো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে পারিনি (টি-টোয়েন্টি)। এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আমরা নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খুবই ভালো বোলিং করেছি। তবে আমাদের ব্যাটিং এখন পর্যন্ত প্রত্যাশামতো হচ্ছে না। অবশ্য কন্ডিশন ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ নয়।’
সাকিব আরও বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা ম্যাচ জিতেছি। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এটা খুবই ভালো অর্জন। আমার মনে আছে আমরা ২০০৭-এ যখন বিশ্বকাপে ভালো করেছিলাম, তার আগে আমরা বেশ কয়েকটা ম্যাচ জিতেছিলাম। সেটা আমাদের সাহায্য করেছিল ২০০৭ এর বিশ্বকাপে ভালো খেলতে। আমার মনে হয় এটা আমাদের দলের মানসিকতা দৃঢ় করবে বিশ্বকাপে ভালো খেলতে।’
কিউইদের বিপক্ষে জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বোলাররা। দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৬০ রানে অতিথিদের থামিয়ে দিয়েছে। ম্যাচ শেষে সাকিবও বোলারদের কীর্তিত্ব দিলেন, ‘আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়া সিরিজের থেকেও কঠিন ছিল প্রথম ম্যাচটা। কিন্তু তারপরও আমরা বেশ ভালো বল করতে পেরেছি। আমাদের বোলিং ভালো হয়েছে। আর নিউজিল্যান্ডের খুব একটা অভিজ্ঞতা ছিল না এই পিচে খেলার, তাই তারা একটু স্ট্রাগল করেছে। দেখুন এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, যত বেশি সিঙ্গেল নেওয়া যায়, যত বেশি রানিং বিটুইন দ্য উইকেট নেওয়ার দিকে ফোকাস করা যায়— ততোই ভালো। কারণ বাউন্ডারি মারাটা খুবই কঠিন। তাই পজিটিভ মাইন্ডে থাকলে যেটা হয় সিঙ্গেলস এবং ডাবলস নিলে ব্যাটসম্যানদের প্রেশারটা অনেক কমে যায়। তারপর সেট হয়ে একটা দুইটা বাজে বল যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে রান করা হয়তো সম্ভব এইখানে। আমার মনে হয়, খুবই কঠিন একটা অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্যাটসম্যানরা এই কন্ডিশনে।’
ম্যাচসেরা হওয়ার অর্জন নিয়ে সাকিব বলেন, ‘যখন কোনো অর্জন হয় তখন অবশ্যই ভালো লাগে। কিন্তু আমি এটা কখনই মাথায় রাখতে চাই না, নিজে আমি কি করছি। আমি দলের জন্য কি করতে পারি সেটাই মূল লক্ষ্য থাকে। ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে আমার কখনোই ফোকাস থাকে না। কিন্তু সবাই যখন ভালো বলে তখন শুনতে ভালোই লাগে, সেটা আমাকে অনুপ্রেরণা দেয় ভালো খেলতে।’