এনামুল-নাসিরের ব্যাটে ঝড়, প্রাইম ব্যাংকের দারুণ জয়
অনেক দিন জাতীয় দলের বাইরে এনামুল হক বিজয়। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে যে খুব বেশি সাফল্য পাচ্ছেন, সেটাও বলা যাবে না। দীর্ঘদিন পর অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ঝড় তুলেছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দারুণ একটি সেঞ্চুরি করেছেন।
আজ রোববার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে এনামুলের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৩৮৮ রান করে। যা এবারের আসরে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। জবাবে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ইনিংস থেমে যায় ২৭৭ রানে। ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ১১১ রানের দারুণ জয় পায়।
ম্যাচে আশা জাগিয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারেননি এনামুল হক। ১৪২ বলে ১৮৪ রান করেন। ১৬ রানের জন্য পারলেন দারুণ কীর্তি গড়তে। তাঁর ইনিংসে ১৮টি চার ও আটটি ছক্কার মার রয়েছে। একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা আরেক ক্রিকেটার নাসির হোসেন। ৩২ বলে ৬১ রান করেন তিনি। তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার তাঁর ইনিংসে।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শাইনপুকুরের হয়ে সিকান্দার রাজা ও আসাদুজ্জামান পায়েল দুটি করে উইকেট নেন।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন সৌম্য সরকার। ২০১৮ সালে লিগে ২০৮ রান করেছিলেন তিনি। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে ২০১৭ সালে রকিবুল করেছিলেন ১৯০ রান।
জবাবে ৪২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে শাইনপুকুর। পরে সিকান্দার রাজা ও সাজ্জাদুল হক জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। সাজ্জাদুল ৫৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেও রাজা ৯৮ রান করেন। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। প্রাইম ব্যাংকের রকিবুল ৪৫ রানে চার উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক : ৫০ ওভারে ৩৮৮/৫ (এনামুল ১৮৪, শাহাদাত ৪৭, অভিমান্যু ৩০, মিঠুন ৩৮, নাসির ৬১*, আলোক ৮; আসাদউজ্জামান ১০-০-৮৮-২, আলাউদ্দিন ১০-১-৬৯-১, রাজা ৮-০-৪১-২)।
শাইনপুকুর : ৫০ ওভারে ২৭৭/৮ (সিকান্দার রাজা ৯৮, সাজ্জাদুল ৫৬, নাঈম ১৩, রাহাতুল ২৮*; মনির ১০-০-৪৮-১, রবিউল রকিবুল ১০-১-৪৫-৪, অলোক ৬-০-৫০-১, মেহেদী ১০-০-৫০-১, রেজাউর ৭-০-৪০-১)।
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১১১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : এনামুল হক বিজয়।