এমন ব্যাটিং গ্রহণযোগ্য নয়, বলছেন সাকিব
ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশের পুরোনো রোগ। তবে শেষ কয়েক টেস্ট ধরে এই ব্যর্থতা যেন আরো চেপে ধরেছে বাংলাদেশকে। কিছুতেই ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে টপ অর্ডার। মূলব্যাটারদের দায়িত্ব যখন ইনিংস মেরামত করা তখন তারাই উইকেট উপহার দিয়ে আসছেন প্রতিপক্ষকে। ব্যাপারটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কাছে। সতীর্থদের এই ব্যর্থতা থেকে বেরোনোর উপায় খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন অধিনায়ক।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ৪৫ রানেই ছয় টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ । দ্বিতীয় ইনিংসেও একইভাবে ব্যর্থ হয় টপ অর্ডার। তাতে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে লড়াই করেও দলকে উদ্ধার করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। হতাশার ব্যাটিংয়ে অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে বড় ব্যবধানে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। অ্যান্টিগায় দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনই ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
এমন পরাজয়ের পর ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘এটা(ব্যাটিং ব্যর্থতা) কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এরকম আমরা নিয়মিতই করছি এখন। গত ৪-৫ টেস্ট ধরেই এটা হচ্ছে। রান করা ও উইকেটে টিকে থাকার পথ ব্যাটসম্যানদের খুঁজে বের করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে এভাবেই এগোতে হয়। এরপর বোলারদের দায়িত্ব। এটাই সরল সমীকরণ, যেটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
সাকিব আরো বলেন, ‘এখানে টস উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তবে তা নিয়ে তো অভিযোগ করতে পারি না। এটা মেনে নিতেই হবে। আমাদের প্রয়োজন ছিল ভালো ব্যাট করা। উইকেট কঠিন ছিল বটে। তবে আমরা যদি আরও বেশি নিবেদন দেখাতাম, ৬ উইকেট না হারিয়ে ২টি হারিয়ে লাঞ্চে যেতাম, তাহলে আদর্শ হতো। ওই সেশনের পর থেকে উইকেট গত তিন দিন ধরেই ছিল ভালো। ওই এক সেশনই আমাদের খেলা শেষ করে দিয়েছে। আমরা ম্যাচে সবসময় পেছনে পড়ে থেকেছি। উন্নতির তাই অনেক জায়গা আছে।’
এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে আগামী ২৪ জুন। দুটি ম্যাচই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে।