কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরির পর ইংলিশদের প্রতিরোধ
লর্ডসে টেস্ট অভিষেকে ইতিহাস গড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ঐতিহাসিক এই গ্রাউন্ডে অভিষেকে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলা ক্রিকেটার এখন তিনি। একই সঙ্গে ডাবল সেঞ্চুরি করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। কিন্তু, কনওয়ের দ্বিশতকের সুবিধা খুব বেশি কাজে লাগাতে পারল না নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইংল্যান্ডও।
নিউজিল্যান্ডের করা ৩৭৮ রানের বিপরীতে ব্যাট করতে নেমে গতকাল বৃহস্পতিবার ২ উইকেটে ১১১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ইংল্যান্ড। এখনও ২৬৭ রানে পিছিয়ে আছে ইংলিশরা। দিন শেষে উইকেটে ছিলেন ররি বার্নস ৫৯ ও জো রুটের ৪২।
৩ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে শক্ত অবস্থানে থেকে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয়দিন দেখিয়েছে হতাশা। গুটিয়ে গেছে মাত্র ৩৭৮ রানেই। শেষ ছয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দুই অঙ্কে যেতে পারেন কেবল একজন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন কনওয়ে। ঠিক ২০০ রান স্পর্শ করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৩৪৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ২২ চার ও এক ছক্কায়।
ইংল্যান্ডের মাটিতে এই প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলেন কেউ। আগের সেরা ছিল সেই ১৮৯৬ সালে রণজিৎ সিংজির অপরাজিত ১৫৪।
নিউজিল্যান্ডের পর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। দলীয় চার রানে হারায় প্রথম উইকেট। কাইল জেমিসনের বলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন ডম সিবলি। এরপর হতাশ করেন জ্যাক ক্রলি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি। তাঁর উইকেটটি নেন ডিম সাউদি।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন ররি বার্নস ও জো রুট। এই দুজনের ব্যাটে চড়েই দিনের বাকি অংশ ভালোভাবে পার করে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ১২২.৪ ওভারে ৩৭৮ (আগের দিন ২৪৬/৩) (কনওয়ে ২০০, নিকোলস ৬১, ওয়াটলিং ১, ডি গ্র্যান্ডহোম ০, স্যান্টনার ০, জেমিসন ৯, সাউদি ৮, ওয়্যাগনার ২৫*; অ্যান্ডারসন ২৮-৭-৮৩-২, ব্রড ২৭-৫-৭৯-০, রবিনসন ২৮-৬-৭৫-৪, উড ২৭-৮-৮১-৩, রুট ১২.৪-১-৩৮-০)
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৪৩ ওভারে ১১১/২ (বার্নস ৫৯*, সিবলি ০, ক্রলি ২, রুট ৪২; সাউদি ১১-৪-১৭-১, জেমিসন ১০-৪-২৯-১, ডি গ্র্যান্ডহোম ৯-৩-১২-০, ওয়্যাগনার ১০-১-৩৬-০, স্যান্টনার ৩-১-১৪-০)।