কিছুটা স্বস্তি, কিছুটা আশা নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ২৩ রানের মাথায় অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল সাজঘরে ফিরে যান। অবশ্য এদিন একমাত্র তামিম ছাড়া বাকি সবাই কম-বেশি রান পেয়েছেন। তাই দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ২৪২ রান।
এদিন বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। উদ্বোধনীতে নেমে খেলেছেন দারুণ একটি হাফসেঞ্চুরি। সাজঘরে ফেরার আগে ১৫৪ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছয়টি চারের মার রয়েছে।
আরেক ওপেনার তামিম করেছেন মাত্র নয় রান। কেমার রোচের শিকার হন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত রানআউট হন মধ্যাহ্নভোজের আগে। তিনি করেন ২৫ রান। আর বল খেলেছেন ৫৮টি।
অধিনায়ক মুমিনুল হক উইকেটে সেট হয়েও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেননি। ৯৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলের ২০০ রান পূর্ণ হওয়ার আগেই মুশফিক আউট হয়ে যান। তার আগে ৬৯ বলে ৩৮ রান করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
দিনের শেষটা সুন্দর হয়েছে বাংলাদেশের। শেষ উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস দারুণ একটি জুটি গড়েন। দুজনে ৪৯ রানের জুটি গড়ে দিন শেষে সম্মানজনক সংগ্রহ গড়ে দিতে মূল্যবান অবদান রাখেন। সাকিব ৯২ বলে ৩৯ এবং লিটন ৫৮ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া এই ম্যাচটি করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। গত বছরের শুরুর দিকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচে অংশ নেয় টাইগাররা।
টেস্ট সিরিজের আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারীরা। ওয়ানডে সিরিজে ১০ জন নতুন ক্রিকেটারের অভিষেক হলেও টেস্টে তুলনামূলক অভিজ্ঞ দল নিয়েই মাঠে নামে ক্যারিবীয়রা।
এবার পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই মাঠে নেমেছেন মুমিনুল হক।
এই সিরিজে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের জন্য পয়েন্ট অর্জনের একটা বড় সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের সামনে। এ নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপে তৃতীয়বারের মতো মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৬ টেস্টের মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছে। সর্বশেষ সিরিজ বাংলাদেশ ২-০তে জিতে নেয়, যা এই সিরিজে বাংলাদেশকে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে।