কোপা আমেরিকায় অংশ নেবে আর্জেন্টিনা
এই জুনের মাঝামাঝিতে মাঠে গড়াচ্ছে কোপা আমেরিকা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। আসরটি নির্ধারিত সময়ে হবে কি না তা নিয়ে এখনও সংশয় কাটেনি। এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) জানিয়ে দিয়েছে, ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় কোপা আমেরিকা কাপে অংশ নেবে তারা।
এএফএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আর্জেন্টিনা বরাবরই খেলার পক্ষে। আর সে ধারা বজায় রেখে এ বছরের কোপা আমেরিকা কাপে অংশ নেবে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। করোনার বিধি মেনেই এই আসরে অংশ নেব আমরা।’
আর্জেন্টিনা কোপায় অংশ নেওয়ায় আয়োজকরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। ব্রাজিলে আসরটি আয়োজন নিয়ে দেশটির অনেক ফুটবলারই বিপক্ষে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে করোনার সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ব্রাজিলে। এই পরিস্থিতিতে ব্রাজিলে কোপার আসর আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গোল ডটকমের খবরে জানা গেছে, উরুগুয়ের স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার সের্জিও আগুয়েরোসহ অনেক ফুটবলারই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে।
ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম রেডিও গাউচোর জানিয়েছে, অনেকেই ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা আয়োজনের পক্ষে নয়। এমনকি খেলোয়াড়রাও এর বিপক্ষে। গত শনিবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ব্রাজিল অধিনায়ক কাসেমিরোর কথাও তেমনটাই আভাস পাওয়া গেল।
ব্রাজিলের অধিনায়ক কাসেমিরো বলেন, ‘ব্রাজিলে কোপা হওয়া নিয়ে আমাদের অবস্থান সবাই জানে। তবে এখনও পুরোটা পরিষ্কার নয়। প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর আমরা সবাই নিজেদের মতামত জানাব। তবে শুধু আমি নয়, কোচ তিতেসহ প্রত্যেকে এর বিরোধিতা করছে।’
ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ব্রাজিল কোচ তিতে বলেছেন, ‘ফুটবলারদের অভিমত খুব স্পষ্ট। আমরা সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে নিয়ে ফেলেছি। কিন্তু, সেটা এখন জানাব না।’
টুর্নামেন্টের ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার দুটি দেশে হওয়ার কথা ছিল এবারের কোপা আমেরিকা। স্বাগতিক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও কলাম্বিয়াকে। কিন্তু যৌথ আয়োজকের তালিকা থেকে শেষ পর্যন্ত দুই দেশই বাদ পড়ে। এরপর কনমেবলের বৈঠকে নতুন স্বাগতিক দেশ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ব্রাজিলকে।
আগের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ১৩ জুনেই মাঠে গড়াবে কোপা আমেরিকা। চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। আসরের প্রথম ম্যাচটি হবে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে। উদ্বোধনী ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ব্রাজিল। এর আগে প্রথম ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে। মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল আর্জেন্টিনা ও চিলির। কিন্তু এবার ১৪ জুন হবে আর্জেন্টিনার ম্যাচ। চিলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করবে আর্জেন্টিনা।
এবারের আসরে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ১০টি দল। প্রতি গ্রুপ থেকৈ চারটি করে দল খেলবে নকআউট পর্বে। দুই অতিথি দল অস্ট্রেলিয়া ও কাতার খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত থাকছে না।
আগামী ৫ জুলাই নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে হবে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল। পরের দিন মানে গারিঞ্চায় হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। ১০ জুলাই মারাকানায় হওয়ার কথা ফাইনাল।