কে হচ্ছেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক, সাকিব না অন্য কেউ?
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) তাদের এশিয়া কাপের দল চূড়ান্ত করার জন্য সময় বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। কয়েক জন খেলোয়াড়ের চোটের কারণে দল ঘোষণা করতে দেরি হচ্ছে।
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার সময়সীমা ৮ আগস্ট। কিন্তু বিসিবি এর জন্য সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছিল এসিসিকে। কারণ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের মেডিকেল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে তারা।
এ ব্যাপারে বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ক্রিকবাজকে বলেন, ‘দীর্ঘ ইনজুরির তালিকা আমাদের ব্যাকফুটে ফেলেছে। তাই আমরা স্কোয়াড চূড়ান্ত করার জন্য এসিসিকে আরও কিছু দিন সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। তারা তা গ্রহণ করেছে।’
লিটন দাস এবং নুরুল হাসান সোহান ইনজুরির কারণে চলমান জিম্বাবুয়ে সফর থেকে বাদ পড়েছেন। পূর্ণ সুস্থ না হলে তাদের এশিয়া কাপের দলে নেওয়া হবে না।
সোহান সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। তাঁর আঙুলে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন না হয় তবে শেষ মুহূর্তে দলে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও লিটনকে বাদ দিতে চাচ্ছে না। যদিও বলা হচ্ছে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে তার চার সপ্তাহ সময় লাগবে। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে তার জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ইনজুরির তালিকায় থাকা অন্য খেলোয়াড়রা হলেন মুস্তাফিজুর রহমান (গোড়ালি), মুশফিকুর রহিম (আঙুল) এবং শরিফুল ইসলাম (হাটু)। তারা ছাড়াও জিম্বাবুয়ে সফর থেকে বাদ পড়া ইয়াসির আলী ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকেও বাছাইয়ের জন্য ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
এ ব্যাপারে বিসিবির পরিচালক বলেন, ‘আমরা মেডিকেল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। পরে আমরা স্কোয়াড চূড়ান্ত করব। আমাদের ১১ আগস্টের আগে স্কোয়াড জমা দিতে হবে।’
চোটের উদ্বেগ ছাড়াও বাংলাদেশকে এশিয়া কাপ এবং আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য অধিনায়ক চূড়ান্ত করতে হবে। সাকিব আল হাসান এই তালিকায় রয়েছেন।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সম্প্রতি বলেছেন, যে তাদের হাতে চারটি বিকল্প রয়েছে। যদিও তাদের মধ্যে একজন অধিনায়কত্ব নিতে অনীহা দেখিয়েছেন।
নুরুল ইনজুরিতে পড়ায় লিটনকে জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে চান বলে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মাহমুদউল্লাহও তালিকায় রয়েছেন। যদিও বিসিবির কেউ কেউ বলেছেন, এর সম্ভাবনা খুব কমই।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, সাকিব তাঁর টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের সময়সীমা জানতে চেয়েছিলেন। দুই বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি তা নিতে প্রস্তুত। যার অর্থ তিনি পরবর্তী বিশ্বকাপকেও লক্ষ্য করছেন এবং দলকে প্রস্তুত করতে চান।