কোচদের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিসিবি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সফল হওয়ার জন্য জাতীয় দলের কোচিং ইউনিটের মানসিকতায় পরিবর্তন দরকার। আরও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার দিকে নিয়ে যাওয়া উচিত দলকে।
জিম্বাবুয়ে সফরের পর কোচিং স্টাফদের তলব করেছে বিসিবি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে দল যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে বোর্ড উদ্বিগ্ন।
স্পিন বান্ধব কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে জয়ের পর থেকে তারা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ১৯ ম্যাচের মধ্যে ১৫টিতে হেরেছে। একেবারেই ধারাবাহিকতা নেই দলের খেলায়।
আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে না পারার কারণে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সাফল্য পাচ্ছে না। সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতো ‘ভয়হীন ক্রিকেট' খেলাতে পারছেন না রাসেল ডমিঙ্গো।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাপোর্ট স্টাফরা খুবই নিবেদিতপ্রাণ, কিন্তু তাদের কোচিং পদ্ধতি ভিন্ন। কিছু কোচ আক্রমণাত্মক, কিছু কোচ আক্রমণাত্মক নয়। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মতো আগ্রাসী স্টাইল আমাদের দরকার। আমাদের প্রধান কোচ (রাসেল ডোমিঙ্গো) খুবই জ্ঞানী, কিন্তু তিনি ততটা আগ্রাসী নন।’
বিসিবির এই পরিচালক আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি চন্ডিকা খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারতেন। মাঠে আক্রমণাত্মক মনোভাব রাখতে পারতেন। আমাদের এমন একজন কোচ দরকার যে ধীরগতির ক্রিকেট খেলা থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে রূপান্তরিত করতে পারেন। টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে খেলা হয়। আমাদের কোচদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাদের পরিকল্পনা জানতে হবে। ১৯ আগস্ট তাদের ঢাকায় আসার কথা, আমরা পরদিন বসতে পারি।’
‘আগামী বছর ইংল্যান্ড সিরিজ (মার্চ মাস) পর্যন্ত আমাদের একটি ব্যাপক পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের সামনে ব্যাক-টু-ব্যাক টুর্নামেন্ট রয়েছে, তাই খেলোয়াড়দের প্রাপ্যতা এবং ইনজুরির সমস্যা রয়েছে।’
বিসিবি মনে করে, টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল। এ ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা স্বীকার করেছি টি-টোয়েন্টিতে ভালো নই। তাই দলে পরিবর্তন আনার জন্য আমরা ইতিবাচক পন্থা নিয়েছি। আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল, যা আমরা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু খেলোয়াড়রা পারফর্ম করতে পারেনি।’
আর কদিন বাদে এশিয়া কাপের লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ দল। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য নিউজিল্যান্ডে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ হবে।