কোহলিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা জবাব দিলেন সৌরভ
বিরাট কোহলি ও সৌরভ গাঙ্গুলির মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা মেটা তো দূরে থাক, ক্রমেই বাড়ছে। আইপিএলে দিল্লি-বেঙ্গালুরু ম্যাচে এই দুই তারকার হাত না মেলানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড়। সেই ঘটনার জেরেই প্রথমে সৌরভকে ইনস্টাগ্রাম থেকে ‘আনফলো’ করেন কোহলি। চুপ করে বসে থকেননি সৌরভও, দিয়েছেন পাল্টা জবাব।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দিল্লি-বেঙ্গালুরু ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড় ও স্টাফরা আনুষ্ঠানিকতা মেনে হ্যান্ডশেক করছেন। তখনই একে অপরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করে এড়িয়ে যান কোহলি-সৌরভ। এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম থেকে সৌরভকে আনফলো করেন কোহলি। তবে কোহলি আনফলো করার পরও গাঙ্গুলির ফলো লিস্টে ঠিকই ছিল কোহলির নাম। এবার কোহলিকে আনফলো করেছেন ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রধান।
ইনস্টাগ্রামে ৩০ লাখ ফলোয়ার সৌরভের, তিনি ফলো করেন ১০৬ জনকে। তাদের মধ্যে নেই কোহলি। অন্যদিকে কোহলির ফলোয়ার সাড়ে ২৪ কোটির বেশি। ২৭৬ জনকে ফলো করেন তিনি, তাদের মধ্যে নেই সৌরভ।
কোহলি বনাম সৌরভ দ্বৈরথ নতুন কোনও ঘটনা নয়। ২০২১ সালে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় থেকেই তাঁদের মধ্যে টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। সেই সময় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ছিলেন সৌরভ। অন্যদিকে, বিরাট কোহলি ভারতীয় টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
সেসময় সৌরভকে কার্যত মিথ্যাবাদী বলেছিলেন বিরাট। ভারতের তারকা ক্রিকেটার বলেছিলেন, ‘যখন আমি বিসিসিআইকে বলি যে আমি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাই, তখন তা ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল। কোনও রকম দ্বিধাবোধ ছিল না। আমায় বলা হয়, এটা সময়োপযোগী পদক্ষেপ। সেই সময় জানিয়েছিলাম, আমি একদিনের ক্রিকেট এবং টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিতে চাই না। আমার পক্ষ থেকে বার্তা স্পষ্ট ছিল। আমি এটাও জানিয়েছিলাম, বিসিসিআই কর্তারা এবং নির্বাচকরা যদি মনে করেন যে অন্য ফরম্যাটে আমার নেতৃত্ব দেওয়া উচিত নয়, সেটাও ঠিক আছে।’
২০২২ সালের জানুয়ারিতেই টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বিরাট। বিরাট কোহলি নাকি মনে করেন তার অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ার পেছনে আসল চাবিকাঠি ছিল সৌরভের হাতেই। দুই তারকার মধ্যে সেই খারাপ সম্পর্ক যে এখনও জোড়া লাগেনি এই ভিডিও তার প্রমাণ।