ক্রিকেটারদের যে বার্তা দিলেন হাথুরুসিংহে
আগামী মাসে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে ৯ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেও সিরিজটির রয়েছে আলাদা কদর। ইংল্যান্ডে যাওয়ার আগে সিলেটে তিন দিনের প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ দল। শেষ দিন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
কেমন ক্রিকেট খেলতে চায় বাংলাদেশ, কেনই বা সিলেটে ক্যাম্প করা, এখন যারা দলের বাইরে তাদের সামনে কতটা সুযোগ আছে ফিরে আসার—এসব নিয়ে কথা বলেছেন হাথুরুসিংহে। সেই সঙ্গে ক্রিকেটারদের আগ্রাসী ও ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার বার্তা দিয়েছেন লঙ্কান কোচ।
বিশ্বকাপ নিয়ে আগের মতোই তিনি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য থাকবে ইতিবাচক ও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলা। আক্রমণাত্মকের মানে এই নয় যে নেমেই প্রতি বলে মেরে খেলতে হবে, বল সীমানার ওপারে ফেলতে হবে। দল নির্বাচন থেকে শুরু করে মাঠের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের মনোভাব, পরিস্থিতি বিবেচনা সবকিছুতেই থাকতে হবে ইতিবাচক ও আগ্রাসী।'
ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিলেটের আবহাওয়া ও উইকেটের বেশ মিল আছে। সিলেটেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। পেসাররা মেলে ধরেছেন নিজেকে। সিলেটে ক্যাম্প করার অন্যতম বড় কারণ এটিই। ক্রিকেটাররা আরও একবার ঝালিয়ে নিতে পারছেন নিজেদের। যা সহায়তা করবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে নিজেদের মানিয়ে নিতে।
ওপেনিং নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা পুরোনো। সিলেটে তামিম ইকবালকে দেখা গিয়েছে নেটে স্ট্রাগল করছেন। কোচ পরামর্শ দিয়েছেন, তামিম চেষ্টা চালিয়েছেন। ওপেনারদের কাছে কোচের চাওয়াটা একদম খোলাখুলি। এই ব্যাপারে হাথুরুসিংহে বলেন, 'ওপেনার হলে কমপক্ষে প্রথম ১০ ওভার টিকে থাকতে হবে। ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতাকে কাজে লাগাতে হবে। এর সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য আপনাকে অনুশীলন করতে হবে। মাঠে কীভাবে শুরু করতে হবে, তা আগে থেকে জানাটা জরুরি। না হলে মাঠে গিয়ে খেই হারাবেন।'
দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসার পর বেশ কড়াভাবেই দলটাকে ঢেলে সাজাচ্ছেন তিনি। লক্ষ্য স্পষ্ট, বড় কিছু করতে হবে। দেশের ক্রিকেটের নতুন দিনের সূচনা করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন হাথুরুসিংহে, খেলোয়াড়দেরও একই পথে হাঁটাচ্ছেন তিনি।