ক্রিকেটাররা গাড়ি নয়, বিদায় বেলায় স্টোকস
ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বেন স্টোকসের মতো তারকার বিদায় ভক্তদের জন্য পীড়াদায়ক। ইংলিশ তারকার বিদায়ের ঘোষণায় অনেকটা অবাকই হয়েছেন সবাই।
কিন্তু সবাইকে অবাক করার পাশাপাশি স্টোকস শোনালেন, ব্যস্ত সূচি নিয়ে নিজের বিরক্তির কথা। জানালেন, ক্রিকেটাররা কোনো গাড়ি নয় যে মাঠে নামলেই জ্বালানী নিয়ে আবার চলার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। তাঁরাও যে রক্তে-মাংসের মানুষ এবং তাঁদেরও যে বিশ্রামের প্রয়োজন আছে সেই বার্তাই দিলেন ইংলিশ তারকা।
গতকাল মঙ্গলবার ডারহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে শেষ ওয়ানডে খেলে ফেলেছেন স্টোকস। মূলত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঠাসা সূচিতে শারীরিক ও মানসিক ধকল কাটাতেই এই ফরম্যাট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।
গতকাল নিজের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামার আগে স্টোকস বলেন, ‘আমরা গাড়ি নই, যে মাঠে যাব এবং জ্বালানী নিয়ে আবার চলার জন্য প্রস্তুত হব। আমাদের একটি টেস্ট সিরিজ ছিল এবং একই সময়ে ওয়ানডে দলের একটি সিরিজ চলছিল। এটা হাস্যকর। আমার মনে হয়, এখন তিন ফরম্যাটেই অনেক বেশি ক্রিকেট হচ্ছে। আগের চেয়ে এটা অনেক কঠিন। অবশ্যই একজন খেলোয়াড় যতটা সম্ভব ক্রিকেট খেলতে চাই। কিন্তু যখন বিষয়টা ক্লান্তিকর হয়ে যায় এবং পাঁচ-ছয় মাস পরে কী হবে সেটা ভাবতেই হয়...সেটা সম্ভবত ভালো কিছু নয়।’
স্টোকস আরো বলেন, ‘যত বেশি ক্রিকেট ম্যাচ হবে, খেলাটির জন্য তত ভালো। কিন্তু সবাই সর্বোচ্চ মানের পন্য চায়। চাওয়া থাকে সেরা খেলোয়াড়রা যতটা সম্ভব খেলুক এবং সেটা শুধু আমি বা আমাদের ক্ষেত্রে নয়। সারা বিশ্বে সব দলকেই এখন নির্দিষ্ট কিছু সিরিজে কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিতে হচ্ছে, যাতে তারা মনে করে যে তারা বিরতি পাচ্ছে।’
ইংল্যান্ডের জার্সিতে অভিষেকের পর মোট ১০৫টি ওয়ানডে খেলেছেন স্টোকস। এই সময়ে ৩৮.৯৮ গড়ে রান করেছেন ২ হাজার ৯২৪। তার মধ্যে সেঞ্চুরি আছে তিনটি আর হাফসেঞ্চুরি আছে ২১টি। পাশাপাশি বল হাতে ১০৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৭৪ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৬১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট।
গেল বিশ্বাকাপের ফাইনালে স্টোকসের পারফরম্যান্সের কথা মনে রাখবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। লর্ডসে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মূলত তাঁর কল্যানেই শিরোপার স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। স্টোকসের অপরাজিত ৮৪ রান ম্যাচটিকে সুপার ওভারে নিয়ে যায়। এরপর রুদ্ধশ্বাস সুপার ওভারের পর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরে ইংল্যান্ড।