খেলার মাঠে ক্রিকেটারের মর্মান্তিক মৃত্যু
ফিল হিউজ, যারা নিয়মিত ক্রিকেট অনুসরণ করেন তাদের কাছে এই নামটি বেশ পরিচিত। তরুণ অস্ট্রেলীয় পেসার অ্যাবটের বলে মাথায় আঘাত পেয়ে ২০১৪ সালে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার হিউজ। এর আগেও নানা সময়ে মাঠে খেলার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন বহু ক্রিকেটার। মৃত্যুর এই মিছিলে এবার যুক্ত হলো আরও একজন—ভারতের আহমেদাবাদের ক্রিকেটার বসন্ত রাঠোড়।
গতকাল শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ৩৪ বছর বয়সী ওই ক্রিকেটার বল করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ভারতের গুজরাটের পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) দপ্তরের কর্মী বসন্ত ক্রিকেট খেলতে গিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আহমেদাবাদের একটি ডেন্টাল কলেজের মাঠে স্থানীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
বল করার সময় প্রথমে অস্বস্তি বোধ করেন বসন্ত। এরপর শুরু হয় বুকে ব্যথা। সতীর্থ এবং আয়োজকরা প্রথমে তাকে ডেন্টাল কলেজে নিয়ে যায়। তার শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকায় পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় সোলা সিভিল হাসপাতালে।
চিকিৎসা শুরু হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বসন্তের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ‘হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার মৃত্যু হয়েছে তার।’
বসন্ত আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তার সতীর্থরা। গুজরাটের পণ্য পরিষেবা কর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের দল ফিল্ডিং করছিল। বসন্ত বেশ চনমনে ছিল প্রথম থেকেই। হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করে এবং মৃত্যু হয়। ওর সতীর্থরা চেষ্টা করলেও কিছু করতে পারেনি।’
ক্রিকেট মাঠে মৃত্যুর তালিকাটা বেশ লম্বা। ক্রিকেট মাঠে সর্বপ্রথম মারা যান ইংলিশ ক্রিকেটার জর্জ সামারস। ইংলিশ ক্রিকেটারদের মধ্যে আরও মারা গেছেন অ্যান্ডি ডুকাট ও উইলফ স্ল্যাক। উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে রমন লাম্বা ছাড়াও মারা গেছেন পাকিস্তানের আবদুল আজিজ, জুলফিকার ভাট্টি ও ওয়াসিম রাজা। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে গিয়ে মারা যান সাবেক অসি ওপেনার ফিলিপ হিউজ। হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে দুই-তিনদিন লড়াই করেও ফিরতে পারেননি তিনি।