গভীর রাতে টুইট করে তোপের মুখে নেইমার
রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে উড়িয়ে আনে প্যারিসের ক্লাব পিএসজি। চড়া দামে ব্রাজিল সুপারস্টারকে আনার কারণ ছিল একটাই—যেকোনো মূল্যে জেতা চাই চ্যাম্পিয়ানস লিগের মুকুট। কিন্তু, বাস্তবতা বলছে উল্টো কথা। পিএসজিতে পা রাখার পর বেশির ভাগ সময়ই চোটের কারণে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে নেইমারকে। এমনকি চ্যাম্পিয়ানস লিগের নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোতেও ব্রাজিল সুপারস্টারকে পাচ্ছে না ফরাসি ক্লাবটি।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, নেইমারের এই চোটের জন্য তাঁর অনিয়ন্ত্রিত জীবনকে দায়ী করেছে ফরাসি সংবাদপত্র লেকিপ। পার্টিতে মগ্ন থাকা, রাতবিরাতে ওয়েব সিরিজ দেখা, গেমস খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়কে দায়ী করেছে সংবাদমাধ্যমটি। এই সমালোচনার মধ্যেই টুইটারে এক পোস্ট করে তোপের মুখে পড়লেন পিএসজি তারকা।
তবে নেইমারের টুইট নিয়ে সমস্যা হয়নি। সমস্যা হয়েছে টুইট করার সময় নিয়ে। সাধারণত খেলোয়াড়দের রুটিন মেনে চলতে হয়ে। সে ক্ষেত্রে সময়মতো ঘুমানোও রুটিনের মধ্যে পড়ে। অথচ নেইমার যখন টুইট করলেন তখন রাত ৩টা বেজে ৫৩ মিনিট। ওই গভীর রাতে বিশ্বখ্যাত রিয়্যালিটি শো ‘বিগ ব্রাদার’–এর ব্রাজিলিয়ান সংস্করণের শো নিয়ে পোস্ট করে বসেছেন তিনি। এরপরই শুরু হয়েছে সমালোচনা।
মার্কার খবর অনুযায়ী, এক জনসংযোগ কর্মকর্তা সেবাস্তিয়েন বেলেনকন্ত্রে নেইমারের এই জীবন নিয়ে বলেন, ‘নেইমার এমন একজন খেলোয়াড়, যাকে বিপুল দাম দিয়ে কিনে এনেছে পিএসজি। যাতে দলটি চ্যাম্পিয়ানস লিগ জিততে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতেই সে চোটে পড়ে থাকে।’
এরপর নেইমারের টুইট করার সময়টি উল্লেখ করে এই কর্তা বলেন, ‘এটা টুইটের সময়? এই সময়ে টুইট করা তাঁর কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন রাখে।’
তবে নেইমারের জীবন যাত্রা নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা শোনা গেলেও ক্লাব তাঁকেই সমর্থন দিচ্ছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘নেইমারের জীবনযাত্রা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয় এটা সত্যি। কিন্তু তাই বলে, তাঁর প্রতিশ্রুতি মিথ্যা হতে পারে না। সে খেলার প্রতি পুরোপুরি মনোযোগী।’