চলছে আসা-যাওয়ার মিছিল, একশ হওয়া নিয়ে শঙ্কা
দিনটা তেমন ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ের শুরুতেও ভালো কিছুর আভাস দিয়ে পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ২ ছক্কা আর ১ চার মেরে ১৭ রান তুলে নেন ওপেনার সৌম্য-শান্ত। পরের ওভারে আসে ৯ রান। ২.১ ওভারে দলীয় ২৬ রানে সৌম্য ১৫(৬) আউট হন। ১ রানের ব্যবধানে শান্ত ৯(৯) আউট হলে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
৪.৪ ওভারে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১(৪) আউট হলে সে চাপ আরও বাড়ে। নিয়মিত যাওয়া-আসার মিছিলে নাম লেখান আফিফ হোসেনও। রাবাদার শর্ট বলে ওয়েইন পারনেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ ১(৫)।
এদিকে দলের এমন বিপদে হাল ধরতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। একপ্রান্তে ২৫ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত আছেন লিটন দাস। আউট হয়ে গেছেন নুরুল হাসান সোহানও।
আজ বৃহস্পতিবার সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে হেরে আগে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই তাসকিন তুলে নেন প্রোটিয়া ওপেনার ও অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ২(৬) উইকেট।
তবে এরপরে প্রোটিয়ারা ঘুরে দাঁড়ায় ডি কক-রুশোর জুটিতে। দুজনে গড়েন ১৬৮ রানের জুটি। এই রানে ভর করে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৫ রান।
এদিন রাইলি রুশো নিজের দ্বিতীয় এবং এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৮ ছক্কা ও ৭ চারে ৫৬ বলে ১০৯ রান করে সাকিবের বলে আউট হন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে বোলিংয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেননি কেউ। তাসকিন ৩ ওভার বল করে ১ টি উইকেট পেলেও রান দিয়েছেন ৪৬। পেসার হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান আজও উইকেটের দেখা পাননি। ৪ ওভার বল করে কাটার মাস্টার দিয়েছেন ২৫ রান।
দলীয় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৩ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। আফিফ ১ ওভারে ১১ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৬ রান। জয়ের জন্য সাকিব বাহিনীর দরকার ৫৮ বলে ১৩৬ রান রান। হাতে রয়েছে ৫ উইকেট।
জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ৫৪ বলে ১৩২ রান।