চ্যাম্পিয়নস লিগের নাটকীয় যত ফাইনাল
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে চার বছর পর মুখোমুখি হচ্ছে দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট। শেষবার এই দুই দল ২০১৮ সালে ফাইনালে লড়াইয়ে নেমেছিল। সেবার লিভারপুলকে ৩-১ গোলে হারিযেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবার লিভারপুলের সামনে প্রতিশোধ নেওয়া সুযোগ।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের স্মরণীয় কিছু ম্যাচ তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য। তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক :
'আন্ডারডগ' এফসি পোর্তোর জয়
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্ডারডগ দল ছিল হোসে মরিনহোর এফসি পোর্তো। ২০০৩/০৪ মৌসুমে শিরোপা জিতে চমকে দিয়ে ছিল পর্তুগিজ ক্লাবটি। রিয়াল মাদ্রিদ, মার্সেই, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিয়ন এবং দেপোর্তিভো লা করোনাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল দলটি। সেখানে তারা এএস মোনাকোকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয়।
'ইস্তাম্বুলের অলৌকিক ঘটনা'
২০০৪/০৫ মৌসুমে ফাইনালে লিভারপুল ও এসি মিলান মুখোমুখি হয়েছিল। ম্যাচের প্রথম মিনিটে অধিনায়ক পাওলো মালদিনি মিলানের হয়ে প্রথম গোল করেন। প্রথমার্ধেই তিন গোলে এগিয়ে যায় ইতালির ক্লাবটি। পরে নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলে সমতা চলে আসে লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধে স্টিভেন জেরার্ড, ভ্লাদিমির স্মিসার ও জাবি লিভারপুলের হয়ে তিনটি গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরায়।
শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ গোলে জিতে শিরোপা ঘরে তোলে লিভারপুল।
মস্কোতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জয়
২০০৭/০৮ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জয়টি নাটকীয়ভাবে এসেছিল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় ম্যান ইউ। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড চেলসির হয়ে গোল করে দলকে সমতা ফেরায়। পেনাল্টি শুটআউটে ইউনাইটেড ৬-৫ গোলে জেতে শিরোপার উল্লাস করে।
চেলসি প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়
প্রায় ১০ বছর আগে ১৯ মে ২০১২ সালে জার্মানির মিউনিখে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে চেলসি প্রথমবার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছিল।
ক্লাবটির কিংবদন্তি দিদিয়ের দ্রগবা চেলসির জয়ের অন্যতম নায়ক। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন টমাস মুলার। পরে ৮৮ মিনিটে চেলসিকে ম্যাচে ফেরান দ্রগবা। পরে পেনাল্টি শুটআউটে চেলসি ৪-৩ জিতেছিল।
রিয়াল মাদ্রিদের বিখ্যাত লা ডেসিমা
পর্তুগালের লিসবনে ২৪ মে ২০১৪ সালে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ১২ বছর পর ঐতিহাসিক লা ডেসিমা শিরোপা জিতেছিল রিয়াল।
দিয়েগো সিমিওনের দল ম্যাচের ৩৬ মিনিটে দিয়েগো গডিনের গোলে এগিয়ে যায়, ৯৩ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল। পরে সার্জিও রামোস রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সমতা আনেন, ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান। পরে ৩০ মিনিটে গ্যারেথ বেল, মার্সেলো ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আরও তিনটি গোল করে স্মরণীয় শিরোপা জেতেন।