জিততে বাংলাদেশের চাই ২৩১ রান
যত দ্রুত সম্ভব ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামাতে হবে—এই লক্ষ্য নিয়েই আজ রোববার টেস্টের চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। নিজেদের লক্ষ্যে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। আবু জায়েদ রাহি, তাইজুল ইসলাম আর নাঈম হাসানের বোলিংয়ে ১১৭ রানে ক্যারিবীয়দের অলআউট করেছে বাংলাদেশ। এই টেস্টে জিততে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ২৩১ রান।
আজ চতুর্থ দিনের শুরুটা রাঙিয়েছেন আবু জায়েদ রাহি। পরপর তুলে নিয়েছেন ক্যারিবীয়দের গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট। দিনের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে জোমেল ওয়ারিকানকে এলবির ফাঁদে ফেলেন রাহি। ওয়ারিকান ফেরার পর ক্যারিবীয়দের সফল জুটি বোনার ও কাইল মায়ার্সের জুটিও টিকতে দেননি তিনি। মায়ার্সকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন এই পেসার।
রাহির পর উইকেট উৎসবে যোগ দেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিবীয়দের ষষ্ঠ উইকেট তুলে নেন তিনি। ফেরান জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে। দুই বোলার মিলে প্রথম ১৪ ওভারে ক্যারিবীয়দের তিন উইকেট তুলে নেন।
দ্বিতীয় সেশনে যেন পাখা মেছেন স্পিনাররা। দ্বিতীয় সেশেনে ২৩ মিনিটের মধ্যে ক্যারিবীয়দের চার উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতির পরপর শুরুতে জোড়া উইকেট তুলে নেন তাইজুল। এরপর শেষ দুজনকে ফিরিয়ে ১১৭ রানে অতিথিদের অলআউট করেন নাঈম হাসান।
গতকাল শনিবার প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। ১১৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪১ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করে ওয়েস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতকাল দিনের শেষ দিকে ক্যারিবীয়দের তিন উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নাঈম হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিপরীতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই হতাশ করে বাংলাদেশ। গত শুক্রবার চার উইকেট হারায় স্বাগতিকেরা। সাবধানী শুরুর পর প্রথম সেশনে হতাশ করেন মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। বড় ইনিংস গড়ার আশা জাগিয়ে দুজনেই প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরেছেন।
১৩৯ মিনিট ব্যাট করে ৮৬ বলে ১৫ রান করে ফেরেন মিঠুন। এর পর আউট হন মুশফিক। অবশ্য হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। ৪৫তম ওভারে রাকিম কর্নওয়ালের বল মিডঅনে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক।
দুই সেট ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর প্রথম সেশনে ফলোঅন এড়ানো নিয়েই শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত লিটন ও মিরাজ জুটি এই শঙ্কা এড়ায়। এই জুটিতে আসে ১২৬ রান। ফলোঅন এড়ানোর পর ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন দুজন। কিন্তু, নিজেদের ধরে রাখতে পারলেন না। শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমেই আউট হন দুজন।
প্রথমে ১৩৩ বলে ৭১ রান করে বিদায় নেন লিটন। এরপর মিরাজের প্রতিরোধ ভাঙেন গ্যাব্রিয়েল। ১৪০ বলে সাত বাউন্ডারিতে ৫৭ রান করেন মিরাজ। লিটন-মিরাজ ফেরার পর বেশি দূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ।