জয়ের লক্ষ্যে লড়ছে বাংলাদেশ
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু করে বাংলাদেশ। মাঝপথে লিটনকে হারিয়ে হোঁচট খেলেও দলকে ভালোভাবে এগিয়ে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি। কিন্তু সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি। ১১২ রানে তাঁকে থামান ডোনাল্ড তিরিপানো। তামিমের পর মাহমুদউল্লাকেও হারিয়েছে বাংলাদেশ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৬৯ রান। উইকেটে আছেন নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ।
আজ মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৪৯.৩ ওভারে ১০ উইকেটে ২৯৮ রান সংগ্রহ করেছে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেছেন চাকাভা।
হারারের স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। তবে শুরুতে বোলিং নেওয়ার সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ের প্রথম উইকেট নিতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে আট ওভার পর্যন্ত। নবম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান।
ইনিংসের ৮.৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব। সাকিবের প্রথম ওভারে করা মিডল স্টাম্পে থাকা লেংথ বল মোকাবিলা করার চেষ্টা করেন বাঁহাতি টাডিওয়ানাশে মারুমানি। ব্যাটে-বলে হয়নি। বল লাগে প্যাডে। সঙ্গে সঙ্গে আবেদন তোলেন সাকিব। আবেদনে সাড়া দিতে খুব বেশি সময় নেননি আম্পায়ার। ১৯ বলে ৮ রান করে ফেরেন মারুমানি। ৩৬ রানে থামে উদ্বোধনী জুটি।
এরপর ১৮তম ওভারে ব্রেন্ডন টেইলরকে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। ২৮ রান করে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টেইলর। দিয়ন মায়ার্সকেও টিকতে দেননি মাহমুদউল্লাহ। ৩৪ রানে তাঁকে বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহ।
মায়ার্সের উইকেটের না যেতেই আরেকটি ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। মুস্তাফিজের স্লোয়ার ডেলিভারি ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাট আগে বাড়িয়ে ফেলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। বল ব্যাটে লেগে গেলে সহজ ক্যাচ হয়ে যায় শর্ট মিড উইকেটে।
বাংলাদেশকে বেশি ভুগিয়েছেন চাকাভা। সেই চাকাভার প্রতিরোধ শেষ পর্যন্ত ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ৩৪.১ ওভারে তাসকিনের ফুল লেংথ স্ট্যাম্প সোজা বলটিতে বাজেভাবে ক্রস ব্যাটে ফ্লিকের মতো করার চেষ্টা করেন চাকাভা। ব্যাটে তো লাগেইনি বল। উল্টো উড়ে যায় স্ট্যাম্প। ৯১ বলে ৮৪ রান করে থামেন চাকাভা।
চাকাভা ফেরার পর বাংলাদেশের মাথা-ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ান সিকান্দার ও রায়ান বার্ল। এই জুটিতেই শক্ত পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত সিকান্দার করেন ৫৭ রান। বার্ল করেন ৫৯ রান।