টাইব্রেকারের রোমাঞ্চে স্পেনকে বাড়ি পাঠিয়ে মরক্কোর ইতিহাস
ম্যাচের নির্ধারিত সময় গোল শূন্য। অতিরিক্ত সময়েও মেলেনি গোলের দেখা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারের ভাগ্যে শেষ হাসি হাসল মরক্কো। স্পেনকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার পা রাখল মরক্কো।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠল মরক্কো। এর আগে একবারই বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে খেলেছিল মরক্কো। ১৯৮৬ আসরে শেষ ষোলোয় জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিল উত্তর আফ্রিকার দেশটি।
কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে আজ মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় স্পেন ও মরক্কো। এডুকেশনাল সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচটির নির্ধারিত সময়ে গোল শূন্য থাকে স্পেন ও মরোক্কো। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়ে পরের ধাপে যায় মরক্কো। আর বিদায় নেয় স্প্যানিশরা।
পরিসংখ্যানের বিচারে পরিস্কার ফেভারিট স্পেন। সেই সঙ্গে ফর্মের তুঙ্গে ছিল স্প্যানিশরা। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ শুরু থেকে দেখেছে নানা অঘটন। তাই মরক্কোও যে ছেড়ে দেওয়ার মতো নয় সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচে তেমন ফুটবলই উপহার দিয়েছে মরক্কো। পুরো ম্যাচে জাল অক্ষত রেখে নির্ধারিত সময় শেষ করে মরক্কো। অতিরিক্ত সময়েও গোল হতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গিয়ে সাফল্য পায় মরক্কো।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে দুদল রক্ষণ নির্ভর খেলা উপহার দেয়। খেলায় খুব একটা আক্রমণ ধরা পড়েনি। প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় লড়াই হয়েছে মাঝমাঠ কেন্দ্রিক।
নির্ধারিত সময়ে বল দখলে এগিয়ে ছিল স্পেন। ৭৬ ভাগ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে স্পেন। এই সময়ে আক্রমণ করে ১০ বার। যার মধ্যে একটি অনটার্গেটে যাওয়ার মতো। বিপরীতে ২৪ ভাগ সময় বল দখলে রেখে মরক্কো আক্রমণে যায় ৬বার। যার মধ্যে দুটি ছিল লক্ষ্যে যাওয়ার মতো।
মরোক্কো আক্রমণ করে ম্যাচের ১২তম মিনিটে। প্রতিপক্ষের ডি বক্সের সামান্য সামনে থেকে ফ্রি কিক পায় মরক্কো। কিক নেন আশরাফ হাকিমি। কিন্তু তার নেওয়া কিক উপর দিয়ে চলে যায়। ৩৩ মিনিটে আরেকটি সুযোগ মিস হয় মরক্কোর। মাজরাউই বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু তার নেওয়া শট সরাসরি স্পেনের গোলরক্ষক ইউনাই সিমনের কাছে চলে যায়।
বিরতির আগে বাকি সময় চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি দুদল। শেষ দিকে আক্রমণে ধার বাড়িয়েও স্কোরবোর্ডে নাম লেখাতে পারেনি স্পেন ও মরক্কো।
বিরতি থেকে ফিরেও একই গতিতে এগুলো স্পেন-মরক্কোর লড়াই। বিরতি থেকে ফিরে অ্যাসেনসিও ফ্রি-কিক থেকে ওলমোকে পাস দেন। ওলমোর শট জায়গা মতোই নেন। কিন্তু লাভ হলো না।
দ্বিতীয়ার্ধেও স্পেন সেভাবে আক্রমণে ধার দেখাতে পারেনি। উল্টো স্পেনের ম্যাচে গতি দেখায় মরক্কো। যদিও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। গোলহীন থেকেই নির্ধারিত সময় শেষ করতে হয় মরক্কো ও স্পেনকে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ না হলে টাইব্রেকারে গিয়ে ফল মেলে। পুরো ম্যাচে লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হতাশায় ডোবে স্প্যানিশরা।