টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারল মুস্তাফিজ বিহীন দিল্লি
প্রথম ম্যাচে বাজে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে দিল্লি ক্যাপিটালস। সমথর্কদের এমন আশায় গুড়েবালি। ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে দিল্লি। তড়িঘড়ি করে উড়িয়ে নিলেও প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও উপেক্ষিত বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৬২ রানের বেশি তুলতে পারেনি দিল্লি। জবাবে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় গুজরাট টাইটান্স।
আগে ব্যাটিয়ে নেমে শুরুতে দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নার মিলে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও জুটি বড় করতে পারেনি। দলীয় ২৯ রানে মোহাম্মদ শামির বলে জোসেফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৭ রানে ফেরেন পৃথ্বী। এরপর দ্রুতই মিচেল মার্শের উইকেটও হারায় দিল্লি। দলীয় ৩৭ রানে শামির বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন মার্শ। তার বিদায়ের পর সারফরাজ খানকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি ওয়ার্নার। দলীয় ৬৭ রানে জোসেফের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওয়ার্নার।ওয়ার্নারের বিদায়ের পরের বলেই রাইলি রুশো আউট হলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দিল্লি।
অবশ্য অভিষেক প্যাটেল ও সারফরাজ মিলে সেই চাপ সামাল দেয়। দলীয় ১০১ রানে অভিষেকের বিদায়ে পঞ্চম উইকেট হারায় দিল্লি। এরপর অক্ষর-অভিষেকদের ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় দিল্লি। গুজরাটের হয়ে শামি-রশিদ ৩টি ও জোসেফ ২টি উইকেট নিয়েছেন।
১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২২ রানে ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহাকে হারায় গুজরাট। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি আরেক ওপেনার শুভমান গিল। তারপর সুদর্শনকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। দলীয় ৫৪ রানে পান্ডিয়ার বিদায়ে চাপে পড়ে আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চাপ সামাল দিয়ে বিজয় শংকরকে নিয়ে দারুন এক জুটি গড়েন সুদর্শন। দলীয় ১০৭ রানে বিজয় বিদায় নিলেও জয়ের ভিত পেয়ে যায় গুজরাট। এরপর মিলারকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন সুদর্শন। মিলার ৩১ আর সুদর্শন ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। দিল্লির হয়ে নরকিয়া দুটি, খলিল আহমেদ ও মিচেল মার্শ একটি করে উইকেট নেন।